এই মুহূর্তে




টেলিমেডিসিন ব্যবস্থা প্রাণ বাঁচালো অশীতিপর বৃদ্ধের




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম জমানায় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির চেহারা কার্যত দুর্বিষহ ছিল। গোটা দেশজুড়েই সেই সময় তীব্র ভাবে সমালোচিত ও নিন্দিত হত। কিন্তু ২০১১ সালে পরিবর্তনের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবি বদলানোর প্রয়াস শুরু করেন। আর সেই প্রয়াসের জেরেই গত ১১ বছরে বাংলার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা আমূল বদলে গিয়েছে। কার্যত বাংলার সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিতে এখন রাজ্যের বাসিন্দারা তো বটেই ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দারাও হাজির হচ্ছেন। জেলায় জেলায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলার পাশাপাশি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা পরিষেবা চালু করে মমতার বাংলা এখন দেশজুড়ে মডেল রাজ্য হয়ে উঠেছে। সেই মডেল রাজ্যেরই নমুনা মিলল এবার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি এক আশীতিপর বৃদ্ধের প্রাণ বাঁচলো রাজ্য সরকারের চালু করা টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নততর চিকিৎসা পরিষেবাকে জেলায় জেলায় পৌঁছে দিতে রাজ্যে কয়েকমাস আগে সরকারি হাসপাতালে তিনি জেনারেল টেলিমেডিসিন চালু করেন। যাতে কলকাতাতে বসেই রাজ্যের বড় বড় সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জেলার হাসপাতালগুলিতে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসা করতে পারেন। এতে যেমন রোগীকে কলকাতায় নিয়ে আসার প্রয়োজন পড়ে না তেমনি চিকিৎসার খরচও অনেকটাই বেঁচে যায়। কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতেও ভিড় আছড়ে পড়ে না। জানা গিয়েছে, বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি ওই বৃদ্ধের স্ট্রোক হয়েছে। ঘটনাচক্রে কিছু দিন আগেই রাজ্যে চালু হয়েছে স্ট্রোকের টেলিমেডিসিন। তার জেরেই কলকাতায় বসে ওই রোগীর চিকিৎসা করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকেরা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে এখন যত সরকারি হাসপাতাল আছে আর সেখানে নিত্যদিন চিকিৎসা করাতে যত রোগীর ভিড় হয় সেই ভিড়ের নিরিখে বাংলা এখন দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে। এই তথ্যটাই বলে দিচ্ছে মমতার বাংলায় সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা আমজনতার কাছে কতটা ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্য দফতরই জানিয়েছে, এখন রাজ্যে দৈনিক প্রায় ২৫ হাজার রোগীর চিকিৎসা হয় এই টেলি মেডিসিনের মাধ্যমেই। কলকাতার সরকারি হাসপাতালে থাকা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেই রোগী দেখেন। ফলে নিজের জেলায় সরকারি হাসপাতাল থেকেই রোগীরা উন্নততর চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে রোগীকে নিয়ে আর কলকাতার হাসপাতালে দৌড়ে আসতে হচ্ছে না রোগীর পরিজনদের। যেমন বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি ওই আশীতিপর বৃদ্ধের চিকিৎসার জন্য তাঁকে কলকাতায় আনতে হয়নি। বরঞ্চ কলকাতায় বসে থাকা বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেসের চিকিৎসকেরা টেলিমেডিসিন সাপোর্টে  তাঁর চিকিৎসা করেন ও প্রাণ বাঁচান।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হাওড়ায় পাইপ লাইনের কাজের জন্য ধস নামায় পানীয় জল সরবরাহে বিঘ্ন, চরম ভোগান্তি

আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে হাজির থাকতে শহরে পা রাখলেন কিং খান

শিবমন্দিরে ঢুকতে যেন বাধা না পান তফসিলিরা, অবশেষে হাইকোর্টে রায়ে স্বস্তি পেলেন বঞ্চিতরা

রবিবারের বৈঠকের আগে ‘অধিনায়ক অভিষেকের’ পোস্টার ছেয়ে গেল দক্ষিণ কলকাতায়

রামনবমীর দিন ইডেনের ম্যাচের নিরাপত্তা নিয়ে মুখ খুলল কলকাতা পুলিশ

চমকের অপেক্ষায় তিলোত্তমা, IPL উদ্বোধনে সঞ্চালনার দায়িত্বে শাহরুখ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর