মমতার তৎপরতায় বাঁচল ৬২৭ কোটি টাকা

Published by:
https://www.eimuhurte.com/wp-content/uploads/2021/09/em-logo-globe.png

Koushik Dey Sarkar

24th March 2023 5:46 pm | Last Update 24th March 2023 5:52 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) প্রাপ্য প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার(Modi Government)। এর জেরে চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে(West Bengal State Government)। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপে রাজ্যের কোষাগারে বাঁচল ৬০০ কোটিরও বেশি টাকা। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ৪ সদস্যের একটি Project Clearence কমিটি গঠন করে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থদফতরের Audit Branch’র অধীনে এই কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির(Project Clearence Comeety) কাজ হল প্রতিটি প্রকল্পের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা এবং কোথাও যাতে অপ্রয়োজনীয় খরচ না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া। সম্প্রতি রাজ্য অর্থদফতর(Finance Department) এই কমিটির কাজকর্ম নিয়ে একটি বিস্তারিত তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কোনও প্রকল্পে ১ কোটি, কোনও ক্ষেত্রে ৭০ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত খরচ আটকেছে মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃক এই কমিটি গঠনের ফলে। সব মিলিয়ে প্রায় ৬২৭ কোটি টাকা বেঁচেছে বিগত ৫ বছরে।  

আরও পড়ুন জলপাইগুড়িতে বাতিল ২ লক্ষ ৬৩ হাজার Job Card

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় অঙ্কের অপ্রয়োজনীয় খরচ আটকানো যায় কীভাবে তা নিয়ে ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। পরে সেই বছরই তিনি পূর্তদফতরের প্রাক্তন পদস্থ কর্তা শ্রীকুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের Project Clearence কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় ওই কমিটিতে যে আরও ৩জন ছিলেন তাঁরা হলেন উত্তম কাঞ্জিলাল, বীরেন্দ্রনাথ দে এবং সিদ্ধার্থ দত্ত। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেহেতু বেশিরভাগ প্রকল্পের সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি জড়িত তাই প্রতিটি প্রকল্পের DPR পাঠাতে হয় এই কমিটির কাছে। এর ফলে প্রকল্পের খরচ থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলি বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা দু’বার করে যাচাইয়ের সুযোগ তৈরি হয়। এর জন্য প্রকল্পের কাজ চালু হতে কিছুটা বেশি সময় লাগলেও আটকানো যায় অপ্রয়োজনীয় খরচ। প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকলেও তা গোড়াতেই ধরা পড়ে।

আরও পড়ুন রাহুলের নাম না করেই মোদিকে আক্রমণ করে টুইট মমতা-অভিষেকের

২০১৮ সাল থেকে এই কমিটি কেমন কাজ করছে তা জানতে মুখ্যমন্ত্রী ২০২১ সালে একটি রিপোর্ট চেয়েছিলেন। তাঁর কাছে সেই সময় সেই রিপোর্ট জমা দেন তৎকালীন অর্থসচিব তথা বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদ্বী। তাতেই দেখা গিয়েছিল ২০২১ সাল পর্যন্তই এই খাতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় খরচ ঠেকানো গিয়েছে। এখন যখন এই রিপোর্ট নতুন করে এবারও মুখ্যমন্ত্রী চান তখন দেখা যায় এই কমিটির হাত ধরে গত ৫ বছরে রাজ্য সরকারের গৃহীত সব প্রকল্পই রূপায়িত হয়েছে এই কমিটির ছাড়পত্র পাওয়ার পর। সেই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় খরচ আটকানোর পরিমাণ বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৭ কোটি টাকায়।

More News:

Leave a Comment

Don’t worry ! Your email & Phone No. will not be published. Required fields are marked (*).

এক ঝলকে

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

Alipurduar Bankura PurbaBardhaman PaschimBardhaman Birbhum Dakshin Dinajpur Darjiling Howrah Hooghly Jalpaiguri Kalimpong Cooch Behar Kolkata Maldah Murshidabad Nadia North 24 PGS Jhargram PaschimMednipur Purba Mednipur Purulia South 24 PGS Uttar Dinajpur

Subscribe to our Newsletter

638
মিশন দিল্লি, পিকের চাণক্যনীতি কতটা কাজ দিল মমতার?

You Might Also Like