নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েকঘন্টার বষ্টিতে কলকাতায় জল জমা নতুন কিছু নয়। কিন্তু বৃষ্টি থামতেই ঘণ্টা খআনেকের মধ্য়েই জল নেমে স্বাভাবিক হয়ে যেত রাস্তাঘাট। কিন্তু বিগত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা। শেষ দুই-তিন দিন বৃষ্টি না হলেও বহু জায়গায় জল এখনও নামেনি। এর কারণ খুঁজতে চক্ষু চড়কগাছ পুরসভার কর্মীদের। বেশিরভাগ এলাকাতেই ম্যানহোলের মুখ বন্ধ প্লাস্টিকে। বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন, জমা জল নিয়ে শুধু পুরসভাকে দায়ি করা ঠিক হবে না, এরজন্য় সাধারণ মানুষও সমান দায়ি।
পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞমহল প্রত্য়েকেই প্লাস্টিকের যথেষ্ট ব্য়বহার নিয়ে সরব দীর্ঘদিন। তবুও সাধারণ মানুষের মধ্য়ে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি তার প্রমান গত সপ্তাহের অবিরাম বৃষ্টির ফল। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টির জমা জল নামতে চার-পাঁচ দিন লেগে যাচ্ছে। পুর আধিকারিকদের দাবি, মানুষের কু-অভ্যাসে রাস্তায় জমে থাকছে প্লাস্টিক এবং আবর্জনার স্তূপ। বৃষ্টির জলে ভাসতে ভাসতে সেই প্লাস্টিক জমা হচ্ছে ম্যানহোলের মুখে।
কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের বক্তব্য়, রাস্তায় যত্রতত্র প্লাস্টিক এবং জঞ্জাল ফেলার কু-অভ্যাস রয়েই গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্য়ে। ফলে সেই প্ল্য়াস্টিক বৃষ্টির জলে ভেসে গিয়ে পড়ছে ম্য়ানহোলে। কলকাতা পুরসভার টাউন প্ল্যানিং বিভাগের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর সিনহা জানিয়েছেন, কলকাতার মতো শহরে বৃষ্টির জল সাধারণত রাস্তা দিয়ে গড়িয়ে নীচে নালায় মেশে। সেই ম্য়ানহোলের মুখ ঢাকা থাকে লোহা কিংবা কংক্রিটের ঝাঁঝরি দিয়ে। কিন্তু প্ল্য়াস্টিক জমে বন্ধ হয়ে যায় সেই ঝাঁঝরির মুখ। তাতেই জল বের হতে সমস্য়া হয়। ফলে দ্রুত জল দাড়িয়ে যাচ্ছে রাস্তায়। আর প্ল্য়াস্টিকে ম্য়ানহোলের মুখ বন্ধ থাকায় বা ম্য়ানহোলে প্রচুর প্ল্য়াস্টিক জমা হওয়ায় জল সরছে না। পাম্প চালিয়েও জল দ্রুত বের করা যাচ্ছে না। এখন নতুন করে নিকাশি প্রণালী তৈরি করা যথেষ্টই খরচসাপেক্ষ।