নিজস্ব প্রতিনিধি: দশমীর লোক দেখিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পড়িয়েছেন শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়। আর সেই ছবি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নানান প্রতিক্রিয়া আসছে এই দুই প্রাপ্তবয়স্ক ও বিবাহিত ব্যক্তির আচরণে। তবে এইধরনের কাজকে জঘন্য বলে দেগে দিয়েছেন রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়ের বাবা তথা শোভনের বর্তমান শ্বশুড় দুলাল দাস। তিনি জানিয়েছেন, ‘কারও কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিলেই কি বিয়ে হয়ে যায়। ওঁরা কি স্বাম -স্ত্রী হয়ে গেল এতে! এই ধরনের মেয়েদের আর কী হবে! এই নিয়ে যা পদক্ষেপ নেওয়ার মেয়ে (রত্না চট্টোপাধ্যায়) নেবে। ওঁর কোনও পরামর্শের দরকার হচ্ছে না।’
আগেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, বর্তমান স্বামী শোভনের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রকেই কাজে লাগাবেন রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়। কারণ আইন মতে তাঁরা এখনও বিবাহিত। আদালতে চলছে ডিভোর্স মামলা, হিন্দু মতে কোনও ছেলে একটি মেয়েকে সিঁদুর দান করলে সেটা বিবাহ হিসেবেই ধরা হয়। আর এদিকে শোভন ও বৈশাখী দু’জনেই বিবাহিত। আবার বিয়ে করছেন সকলের সামনে তা আইনি পথে জটিলতা বাড়াতে পারে শোভন বাবুর ক্ষেত্রে। রত্না চট্ট্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘ওঁরা যা পারছে করছে। কিন্তু, ভুলে যাচ্ছে দেশে এখনও আইন রয়েছে। শোভন আইনত এখনও আমার স্বামী। দুর্গা প্রতিমার পেছনে একটা বাঁশ থাকে। আমি সেই বাঁশ। ওঁরা বিয়ের কথা ভাবুক, তারপর আমি দেখছি, আইনত সব পদক্ষেপ নেব। পুজোর সময় ফোন করে শোভন একবারও ছেলে-মেয়ের খোঁজ পর্যন্ত নেননি। শুধু পুজো নয়, জন্মদিনে পর্যন্ত ওঁদের একটিবার শুভেচ্ছা জানায় না।’
কিন্তু আজকের শোভন-বৈশাখীর সিঁদুর এপিশোডের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালো রশদ জুগিয়েছে বলাই যায়। রীতিমত ভাইরাল তাঁদের কাণ্ড। শোভন বাবুর সিঁদুর দানের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।