নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অর্থনীতি। তাই প্রতিবছরেই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল আয়োজনের পথে হাঁটে সরকার। এতবছর পুজোর ম্লান চেহারাকে বর্তমান সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী এসে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। কার্যত বিশ্বের দরবারে এখন হাজির বাংলার দুর্গাপুজো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করেই নানা অনুষ্ঠান ও ছাড় দেন। তিনি নিজেও জানেন বাংলার অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব রয়েছে এই দুর্গাপুজোর। বাংলার অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব রয়েছে দুর্গাপুজোর? ২০১৮ সাল থেকেই রাজ্যের পর্যটন দফতরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কাজ করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। পুজো-অর্থনীতি নিয়ে সমীক্ষার রিপোর্টে ব্রিটিশ কাউন্সিল জানিয়েছে, বাংলার জিডিপি-র প্রায় ২.৫%-এর কাছাকাছি সৃষ্টি হয় দুর্গাপুজো থেকেই। যার পরিমাণ প্রায় ৩২,৩৭৭ কোটি টাকা। যা একাধিক দেশের মূল অর্থনীতির থেকে বেশি বলে উল্লেখ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওই রিপোর্টে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৩৬ হাজারেরও বেশি পুজো সংগঠিত হয়। এর মধ্যে কলকাতার বিভিন্ন ক্লাব (সরকারি নথিভুক্ত) প্রায় ২৫০০-এর কাছাকাছি পুজোর আয়োজন করে। এছাড়াও সোশ্যাইটিগুলিতেও বহু পুজোর আয়োজন হয়। শুধু মহিলাদের দ্বারা আয়োজিত পুজোর সংখ্যা প্রায় ১৫০০-র কাছাকাছি। এর সঙ্গে জড়িয়ে সবধরনের পেশার মানুষদের। কাঁচাবাজার থেকে ফুল-ফল, প্রতিমা গড়া, জামা-কাপড়ের ব্যবসা, হোটেল-রেস্তোরাঁ, পর্যটন শিল্প, মিষ্টি, লাইট-সাউন্ড, ডেকরেটার্সদের ব্যবসা চলে তাই সবক্ষেত্রেই অর্থের একটা জোগান হয়। হাতফেরি হয় টাকার, তাই বাংলায় ভালো আয় হয় দুর্গাপুজো থেকেই। ব্রিটিশ কাউন্সিল লন্ডনের ম্যারি ইউনিভার্সিটি-এর সঙ্গে কাজ করেছে এই সমীক্ষায় এবং সব ধরনের সাহায্যে পাওয়া গিয়েছিল আইআইটি খড়গপুরের।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু প্রতিমা প্রস্তুতিতেই রাজ্যে ২৬০-২৮০ কোটির ব্যবসা হয়। বিজ্ঞাপন বাবদ ৫০৪ কোটি টাকা এবং খাওয়াদাওয়ার বাজার প্রায় ২৮৫৪ কোটির কাছে চলে যায়। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে আলো, স্পনসরশিপ, পাবলিকেশনের মতো ক্ষেত্রের ব্যবসার তথ্যও জানানো হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে দুর্গাপুজোর সময় পর্যটন বাবদ ব্যবসার তথ্য।