-273ºc,
Sunday, 4th June, 2023 9:42 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: এক আধ কোটি টাকা নয়। পুরো ৯৫ কোটি টাকার প্রতারণা(Trickery)। সেই প্রতারণার দায়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার(Arrest) করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Department বা ED। ভুয়ো সম্পত্তি দেখিয়ে কৌশিক কুমার নাথ নামে ওই অভিযুক্ত একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক(Bank) থেকে ৯৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। তারপর ওই টাকা হাওলা করে সে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। ED ওই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করতে না পারলেও প্রতারণার টাকায় কেনা প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগে কৌশিক কুমার নাথকে গ্রেফতারও করেছে।
আরও পড়ুন মমতার পথে হেঁটে এবার Post Office-এও Biometric Attendence
ED সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ২০০৭ সাল থেকে ব্যাঙ্কে সম্পত্তি বন্ধক(Mortgage) রেখে ঋণ নেওয়া শুরু করে। টানা ৫ বছর সে একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে সব মিলিয়ে ৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কিস্তির টাকা জমা না পড়ায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তার জমা দেওয়া নথিপত্র পরীক্ষা করে। তখন জানা যায়, সম্পত্তিগুলির কোনও অস্তিত্বই নেই। ভুয়ো নথি জমা দেওয়া হয়েছিল। শুধু এখানকার নয়, ভিন রাজ্যের সম্পত্তির জাল কাগজও জমা দিয়েছিল সে। এরপর CBI তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। একই সঙ্গে কলকাতা সহ অন্য রাজ্যেও প্রতারণার মামলা শুরু হয়। অন্য রাজ্যে চিটফান্ড সংস্থা খুলে টাকা হাতানোর অভিযোগও রয়েছে। এসব অভিযোগে কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করে। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় মহারাষ্ট্র ও অসম পুলিশ।
আরও পড়ুন শিলিগুড়িতে শুরু ৩ দিনের G-20 Tourism Summit
ইতিমধ্যে টাকা নয়ছয়ের তদন্তে নামে ED। ঋণ নেওয়া বিপুল টাকা অভিযুক্ত কোথায় সরিয়েছে, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন তাঁরা। সেই তদন্তে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় তার জমিজমা ও ফ্ল্যাটের হদিশ মেলে। আরও কয়েক কোটি টাকা কোথায় গেল, তার হদিশ এখনও নেই। ED জেনেছে, কিছু টাকা এক পরিচিতের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে ধৃত। বিভিন্ন রাজ্যে পরিবহণ, হোটেল সহ অন্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে কিছু টাকা। এসব কাণ্ডের নথি জোগাড়ের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ED’র আধিকারিকেরা এটাও দেখছেন এই কৌশিক কুমার নাথের সঙ্গে বাংলার নিয়োগ দুর্নীতির কোনও যোগ রয়েছে কিনা। কেননা নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে এমন তথ্য ED’র হাতে এসেছে। সেই টাকা এই কৌশিক কুমার নাথের মাধ্যমে পাচার হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা।