নিজস্ব প্রতিনিধি: শুধু নয় বাংলা বা কলকাতা, স্কুল সার্ভিস কমিশনের(SSC) মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(Partha Chattopadhay) বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরু(Bengaluru) শহরের বুকে। কর্ণাটকের রাজধানী এই শহরে পার্থ’র নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED) বা ইডি’র আধিকারিকেরা। তাঁরা বেঙ্গালুরুর বুকে পার্থ ও অর্পিতার নামে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট, বাংলো ও খামারবাড়ির সন্ধান পেয়েছেন। এছাড়াই বেনামে পেয়েছেন প্রচুর জমির হদিশ। এই সবই কেনা হয়েছে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে। এই সব সম্পত্তির কোনওটি বেঙ্গালুরু শহরের উপকণ্ঠে, আবার কোনওটা বিমানবন্দর লাগোয়া অংশে। বিপুল এই সম্পত্তির পুরোটাই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় কেনা হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন ইডি আধিকারিকেরা। আর সেই সূত্রেই ইডির নজরে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন কর্মস্থলের অবসরপ্রাপ্ত এক ফিনান্স অফিসার(Finance Officer)। তিনিই পার্থকে সাহায্য করেছেন ওই সব সম্পত্তি কিনতে। শুধু এই সব সম্পত্তিই নয়, বেঙ্গালুরুতে রিয়েল এস্টেট কারবারেও দুর্নীতির টাকা লগ্নি হয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফিনান্স অফিসারের সঙ্গে পার্থ’র সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন এই সহকর্মী আপাদমস্তক জড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে। তিনি শুধু বেঙ্গালুরুতে সম্পত্তি কেনায় সাহায্য করেননি, এ রাজ্যে টেট ও নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পর্বে নিজের ‘ক্যান্ডিডেট’দের চাকরিও পাইয়ে দিয়েছেন। আর সেই সুবাদে প্রচুর টাকা তুলে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পৌঁছে দিয়েছেন। বেঙ্গালুরু থেকে মাঝেমধ্যেই কলকাতায় আসতেন তিনি। প্রায় প্রতিবার নাকতলায় পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। তার মাধ্যমেই পার্থ বেঙ্গালুরুতে নিজের ও অর্পিতার(Arpita Mukhopadhay) নামে এবং বেনামে মোট ৬টি ফ্ল্যাট, ৩০ একর জমি, ২টি খামারবাড়ি এবং ৩টি বাংলো কিনেছেন। ফ্ল্যাটগুলির এক একটির দাম প্রায় ৮ কোটি টাকা। জমির দাম একর প্রতি প্রায় ১২ কোটি টাকা। এক একটি খামারবাড়ির দাম বর্তমান বাজারে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। বাংলো গুলির বর্তমান বাজার দর ৬ থেকে ১২ কোটি টাকা। এবার এই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চাইছে ইডি।