এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

এ বাড়ি কার, নজর কলকাতার, নজর রাখছে ইডিও

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়িটার নাম ‘ইচ্ছে’(Ecche)। কলকাতার(Kolkata) কসবা(Kasba) এলাকায় রাজডাঙা মেন রোডের(Rajdanga Main Road) ওপর প্রাসাদপম বাড়ি। আর এই বাড়ির দিকেই এখন নজর সারা কলকাতার। নজর পড়েছে ইডি(ED) আধিকারিকদেরও। কেননা এই বাড়ির মালিক ঠিক কে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এই বাড়িতে মাঝেমধ্যেই দেখা যেত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে(Arpita Mukhopadhay)। মাঝে মাঝে আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও(Partha Chattopadhay)। বাড়িটি মূলত বিয়ে বাড়ির জন্য ভাড়া দেওয়া হলেও সেখানে শুটিংও হতো। কিন্তু যেটা নজর কেড়েছে ইডি আধিকারিকদের তা হল বাড়িটি আদতে ৩টি পৃথক পৃথক প্লটকে একত্র করে বানানো হয়েছে। যে ৩টি প্লট একসঙ্গে করে এই বাড়ি বানানো হয়েছে সেই প্লটগুলি আবাসিক প্লট। অর্থাৎ সেখানে শুধুমাত্র থাকার জন্যই বাড়ি বানানো যাবে। কিন্তু ‘ইচ্ছে’ পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক ভবন। এর জন্য না সরকারি স্তরে কোথাও অনুমতি নেওয়া হয়েছে না কলকাতা পুরনিগমের কাছে এই বাড়ি নিয়ে কোনও তথ্য আছে। অর্থাৎ পুরোটাই বেআইনি।

কসবা এলাকার ইডি ব্লকের ‘ই’ সেক্টরের অন্তর্গত ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর আবাসিক প্লটকে একত্র করে ‘ইচ্ছে’কে গড়ে তোলা হয়েছে। ৭ কাঠা জমির ওপরে ‘ইচ্ছে’ গড়ে উঠলেও কলকাতা পুরনিগমের রাজস্ব বিভাগের রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে ওই ৩টি পল্টের মধ্যে মাত্র ১টি প্লট ফাঁকা আছে। তার পরিমাণ ২ কাঠা ৯ ছটাক। ১১ নম্বর প্লটটি ফাঁকা হিসাবে দেখানো হলেও কলকাতা পুরনিগমের রাজস্ব বিভাগের রেকর্ডে জমির মালিক হিসাবে নাম নথিভুক্ত রয়েছে সুখরঞ্জন নন্দীর নাম। আবার ওই একই জমির মালিক হিসাবে কলকাতা পুরনিগমের লাইসেন্স বিভাগে নাম রয়েছে রঞ্জিত করের। অর্থাৎ একই জমির দুইজন মালিক। আরও চমকে দেওয়ার মতো বিষয় ১০ ও ১২ নম্বর প্লটের কোনও মালিকানার তথ্যই নেই কলকাতা পুরনিগমের কাছে। আবাসিক প্লটকে কোনওভাবেই বদলে ফেলেঅবাণিজ্যিক প্লট করা যায় না বিশেষ অনুমতি না নিয়ে। কিন্তু ‘ইচ্ছে’র ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এই ধরনের কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি কোথাও থেকে। না আদালত থেকে, না পুরনিগমের থেকে।

আরও মজার খবর, ওই বাড়ি যে ৩টি প্লটে গড়ে উঠেছে তার মধ্যে ফাঁকা জমি হিসাবে দেখানো হয়েছে ১১ নম্বর প্লটটিকে। সেখান থেকে কলকাতা পুরনিগমের রাজস্ব বিভাগ প্রতি বছর মাত্র ২৩৫২ টাকা সম্পত্তিকর আদায় করে। যদিও ‘ইচ্ছে’র আড়বহর দেখে কলকাতা পুরনিগমের অভিজ্ঞ আধিকারিকদের দাবি, ওই বাড়ি থেকে খুব কম করেও পুরনিগম ১ লক্ষ টাকা আদায় করতেই পারে। ঘটনা হচ্ছে গত শনিবার থেকেই এই বাড়ির বাইরের গেটে তালা ঝুলতে দেখা না গেলেও বিয়ারে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছেন না। এমনকি সামাজিক অনুষ্ঠান হোক কী শুটিংয়ের কাজ কাউকেই এখন আর ওই বাড়ি ভাড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। আর এখানেই ইডির খটকা বাড়ছে আরও।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

১৯ লক্ষ মানুষের মাথায় পাকা ছাদ, ‘গৃহশ্রী’ পোর্টাল আনছে রাজ্য

কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে

‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট আদালতে জমা ইডির

নিউটাউনে পরিত্যক্ত বহুতল থেকে উদ্ধার যুবকের নিথর মৃতদেহ

ভোট পেতে কুণাল ঘোষকে ফোন কংগ্রেস প্রার্থী  প্রদীপ ভট্টাচার্যের

২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর