নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ কুড়ি মাস পর রাজ্যে খুলছে স্কুলের দরজা। করোনার সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল। প্রাথমিক ভাবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস করোনা বিধি মেনেই হবে রাজ্যে। রবিবার শিক্ষামন্ত্রী আরও একটা খুশির খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষা দফতরের চিন্তাভাবনা রয়েছে ধাপে ধাপে বাকি শ্রেণির ক্লাস যত দ্রুত সম্ভব খোলা যায়। তবে সবটাই করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। যেহেতু ১-১৮ বছরের কারোরই টিকাকরণ হয় নি, তাই আগামী মঙ্গলবার থেকে স্কুল খুললেও চিন্তায় রয়েছে শিক্ষা দফতরের। তাই অফলাইনের সঙ্গেই অনলাইন ক্লাসকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্কুল খোলা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। ক্লাসে মাস্ক পরা, টিফিন শেয়ার না করা, দূরত্ব বজায় রাখা, ক্লাস শুরুর আধঘন্টা আগে আসতে হবে, এইধরনের একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর। যদিও করোনার টিকা না পাওয়া পড়ুয়াদের স্কুল খোলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা হয়। যদিও সেই মামলা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়ে স্কুল খুলতে রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আদালত। মামলাকারীর আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে জানায়, প্রতিদিন ১০ মিনিট করে পড়ুয়াদের কোভিড নিয়ে সচেতন করা হবে। ক্লাস চালু করতে কোনও স্কুলের অসুবিধা থাকলে তারা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হলে স্কুলের ১৫ শতাংশ পড়ুয়াই উপস্থিত থাকবে। দেশের প্রায় সব রাজ্যে স্কুল খুলে গিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, বিহার, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এই সব রাজ্যে অনেক আগেই স্কুল খুলে গিয়েছে। তাই করোনা বিধি মেনেই রাজ্যে খুলছে স্কুল। রাজ্যের এই জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে স্কুল খোলার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
দু’দিন আগেই স্কুল খোলা নিয়ে অভিভাবকদের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘স্কুলে আসা নিয়ে কোনও রকম জোরাজুরি করা হবে না। পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। বাবা-মা চাইলে তবেই পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন।’