নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে, ‘গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল’। তেমনই দশা বাংলার ‘নব্য ছোটলাট’ তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। ভোটের আগে নজরদারি চালাতে কোচবিহারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলার তথাকথিত সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু বুধবার নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যপালকে কোচবিহারে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের দিন যদি রাজ্যপাল কোচবিহারে উপস্থিত থাকেন, তা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল হবে।
আগামী শুক্রবার প্রথম দফার ভোট হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছিল, ভোট চলাকালীন তিনি কোচবিহারে থাকবেন। কোচবিহারে থেকে এলাকা সরজমিনে খতিয়ে দেখবেন তিনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিরপুরদুয়ারে ভোট প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন সেখানে ভোটার ছাড়া আর কেউ যেতে পারবেন না। রাজ্যপাল যদি ভোটের দিন কোচবিহারে যান, তাহলে তা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল হবে। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রোটোকল অনুয়ায়ী, রাজ্যপাল যে জেলায় যাবেন, সেই জেলায় রাজ্যপালকে সশরীরে অভ্যর্থনা জানানো জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের দায়িত্ব। রাজ্যপাল এলে তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়। জেলাশাসক যেহেতু নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, তাই তাঁর পক্ষে রাজ্যপালকে অভ্যর্থনা জানানোর সময় বা পরিস্থিতি থাকবে না।
এর আগে ভোটের দিন বার বার অশান্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা। ভোটের দিন শীতলকুচি, দিনহাটা এলাকায় দফায় দফায় অশান্তি হয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে ফের সৃষ্টি হয়, সেজন্য রাজ্যপাল ভোটের দিন কোচবিহারে য়েতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন রাজ্যপালকে যেতে বাধা দিয়েছে।