এই মুহূর্তে




3D Mapping’র পরেও সেমিনার রুমে মেলেনি সঞ্জয় ও নির্যাতিতার Foot Print

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে(R G Kar Medical College and Hospital) পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায়(Doctor Rape and Murder Case) মামলা শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। গতকাল ছিল সেই মামলার শুনানির দিন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে গতকাল সেই মামলার শুনানি হয়নি। কেননা বুধ সন্ধ্যাতেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির থাকছেন না প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। যদিও বৃহস্পতিবার রাতেই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই শুনানি হবে আগামী সোমবার অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর। এরই মাঝে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। সেই সিবিআই সূত্রেই জানা গিয়েছে, আর জি কর কাণ্ডে নৃশংস ধর্ষণ-খুনের ঘটনাস্থল যে সেমিনার রুম সেখানেই নাকি 3D Laser Mapping’র পরেও মেলেনি ধৃত সঞ্জয় রাই ও নির্যাতিতার Foot Print।

আরও পড়ুন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের দৌরত্ম্যে টানা ৭২ ঘন্টা ট্রাক ধর্মঘটের ডাক রাজ্যে

খুনের ঘটনায় আততায়ীর সংখ্যা নিশ্চিত করতে হাত ও পায়ের ছাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে কী ধরনের জুতো তারা পরেছিল, সেটাও জানা যায়। সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, প্রথাগত পদ্ধতিতে তো বটেই, 3D Laser Mapping’র পরেও সেমিনার রুম থেকে মেলেনি ধৃত সঞ্জয় রাই ও নির্যাতিতার Foot Print। অথচ ওই হলের লাগোয়া দু’টি ঘরে তরুণীর ফুটপ্রিন্ট মিলেছে। সেখানে আরও বেশ কয়েকজনের পায়ের ছাপ পেয়েছে সিবিআই। এটাই রহস্য বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, সেমিনার রুমে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা একটাই। নির্যাতিতার দেহ মেলার পর এলাকা ঘেরা না থাকায় একাধিক ব্যক্তি হুড়মুড়িয়ে দেহের কাছে গিয়েছে। তাঁদের পায়ের ছাপে নির্যাতিতা ও সঞ্জয়ের Foot Print নষ্ট হতে পারে। একাধিক ব্যক্তির পায়ের ছাপে আলাদাভাবে ওই দুজনের নমুনা আলাদা করা যাচ্ছে না। আর যেহেতু সেমিনার রুমে দুইজনের পায়ের ছাপ মেলেনি, তাই এখন নতুন করে দুটি সম্ভাবনা মাথাচাড়া দিচ্ছে।

আরও পড়ুন, মাঝরাতে টালা থানার OC বদল, আর সকালে সন্দীপের দুয়ারে হাজির ED

এক, সেমিনার রুম ঘটনাস্থল নয়। অন্য কোথাও ঘটনা ঘটানোর পরে নির্যাতিতাকে সেমিনার রুমে এনে রাখা হয়েছিল। যদিও সেমিনার রুলে ঢোকার পথে যে করিডর রয়েছে সেখানে সিসি ক্যামেরায় তা ধরা পড়েনি। আর দুই, ধর্ষণ-খুনের পর বহু লোক সেমিনার রুমে ঢুকে আসায় মৃতা এবং অভিযুক্তের Foot Print মুছে গিয়েছে। আর এই দুই কারণ মাথাচাড়া দেওয়ায় তদন্তে জটিলতা আরও বাড়ছে। রহস্য আরও বাড়িয়েছে সঞ্জয়ের বয়ান। ঘরে ঢুকে সে নাকি তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেছিল। ধাক্কা দেওয়ার পর সাড়া না মেলায় ভয়ে সে নাকি ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তখনই হোঁচট খেয়ে তার নেকব্যান্ড মেঝেয় পড়ে যায়। সেখানেও প্রশ্ন, এত লোক ঘরে ঢোকায় সেই নেকব্যান্ড পায়ের ধাক্কায় অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা ছিল। তার বদলে মৃতার ম্যাট্রেসের নীচে রাখা হল কীভাবে? কার্যত রহস্যের পরে রহস্য যার জট ছাড়াতে নাকাল হচ্ছেন খোদ সিবিআই আধিকারিকেরা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘যদি কেউ না নিতে চান, ঠিক আছে, নতুনদের দিয়ে দেওয়া হবে’, পুজো অনুদান নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

চিকিৎসকদের মঙ্গলবার ৫ টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

আর জি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যকে সহযোগিতার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বাংলায় মারা গিয়েছেন ২৩জন, সুপ্রিম কোর্টে জানালো রাজ্য

জুনিয়র চিকিৎসকদের ১ মাসের কর্মবিরতিতে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ৯ লক্ষ মানুষ

রাজপথে জনতার আন্দোলনের ঢেউয়ে জৌলুশ হারিয়েছে রবিবারের পুজোর মার্কেট

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর