এই মুহূর্তে




লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির সদস্য হওয়ার আগ্রহ কমছে বাংলায়

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: সদস্য সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পার্টি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরে বিজেপি(BJP)। কিন্তু ৩৭০ ধারা বিলোপ কিংবা রাম মন্দির উদ্বোধনের পরও গত লোকসভায়(Loksabha Election 2024) ২৪০টি আসনে আটকে যায় গেরুয়া শিবিরের বিজয় রথ। যা দলের সদস্য পদ নবীকরণ প্রক্রিয়ায়(Membership Renewal Process) গোটা দেশেই বেগ দিচ্ছে পদ্ম বাহিনীকে। বাংলাতেও(Bengal) যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে। ২০১৪ কিংবা ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর বিজেপির সদস্য হওয়ার ধুম পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। অন-লাইন কিংবা অফ-লাইনে বিজেপির সদস্য হওয়ার জন্য জেলায় জেলায় ক্যাম্প হয়েছিল। তবে এবারের ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। বিজেপির প্রতি চরম অনাস্থায় দলের সদস্যতা অভিযান কার্যত মুখ থুবড়ে(Flopped) পড়েছে। সেই সঙ্গে বিজেপির সদস্য হওয়ার আগ্রহ কমছে বাংলার আমজনতার মধ্যেও।

আরও পড়ুন, সোম দুপুরে সুপ্রিম শুনানি আর জি কর মামলার

‘আব কি বার ৪০০ পার’— স্লোগানকে সামনে রেখে লোকসভা ভোটে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দেশবাসী মোদি-শাহদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার স্বপ্ন ভেঙে খান খান করে দিয়েছেন। তারপর থেকে মোদি। গত কয়েকমাসে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনায় ‘৫৬ ইঞ্চির’ পরিচিত জোশ চোখে পড়েনি। সেই দূর্বলতা এবার পার্টির সাংগঠনিক স্তরেও ক্রমেই বেআব্রু হচ্ছে। পদ্মশিবিরের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে অন-লাইনে কেবলমাত্র বাংলা থেকেই ১ কোটি ২০ লাখ সদস্য বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে তৎকালীন দল পরিচালনায় বাড়তি সক্রিয়তা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এবারে লোকসভায় ভোটে এ রাজ্যে দলের আসন কমার পর থেকে নিচুতলায় কর্মীরা কার্যত বসে গিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে বুথে বুথে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তিতে ক্ষয় শুরু হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা দেশজুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সর্বভারতীয় বিজেপি। একমাস হতে চলল, বাংলায় এখনও পর্যন্ত মাত্র লাখ দু’য়েকের বেশি সদস্য হয়েছেন। যা নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন, ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি, পাহাড়ে আসার অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীকে

জ্বলন্ত আর জি কর ইস্যু থেকে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় বিজেপি বঙ্গীয় পরিসরে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও সদস্য অভিযানে পার্টির ছন্নছাড়া দশা রীতিমত উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে দিল্লি নেতাদের। বঙ্গ বিজেপির বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের দক্ষতা নিয়েও জেলা থেকে মণ্ডল স্তরে প্রশ্ন রয়েছে। রাজ্যস্তরের একাধিক পদাধিকারী স্রেফ এসি ঘরে বসে সাংবাদিক সম্মেলন কিংবা সামাজিক মাধ্যমে লিখিত বিবৃতি দিয়ে নিজেদের ‘বাঘ’ হিসেবে প্রজেক্ট করছেন বলে দাবি দলেরই আদি নেতার। অথচ সেই সব নেতাই ভোটের মাঠে কিছুই করে দেখাতে পাচ্ছেন না। সব থেকে বড় কথা আর জি কর ইস্যুতে বামেরা বিজেপির পায়ের তলার মাটি কেড়ে নিয়েছে এই রাজ্যে। সেই ছবি দেখতে ও বুঝতে পারছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। খালি আনুষ্ঠানিক ভাবে তা প্রকাশিত হওয়াটাই সময়ের অপেক্ষা মাত্র।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলায় বেকসুর খালাস আখতার হোসেন

বদলে যাওয়া বাংলার গল্প শোনাতে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডের পথে মমতা

প্রশাসনের কাছে পাকা বাড়ির দাবি জানালেন ঘরছাড়ারা, হাওড়ার আবর্জনা এবার ধাপায়

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কাঁথির কৃষি উন্নয়ন ব্যাঙ্কে ভোটের আর্জি,আবেদনে সাড়া দিল না উচ্চ আদালত

পাইকারি বাজারে হানা, কলকাতায় উদ্ধার ২০ লক্ষের জাল ওষুধ

বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, বড় ইঙ্গিত দিলীপ ঘোষের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর