নিজস্ব প্রতিনিধি: ছুটির দিনে বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতরে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো হাওড়ায়। রবিবার প্রতিদিনের মতই ওই দম্পতির দুই মেয়ে আঁকা শিখতে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে দেখে তাদের ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ। ধাক্কা দিয়ে বা ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তখনই কাঁদতে কাঁদতে ওপরের ফ্ল্যাটে প্রতিবেশিকে ঘটনাটি জানায় দুই মেয়ে। তারা এসেই দরজা ভাঙার ব্যবস্থা করে ও পুলিশে খবর দেয়। ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙতেই চক্ষু চড়ক গাছ। দেখা যায়, গৃহকর্তার দেহ ফ্ল্যাটের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে ও কর্তীর দেহ মাটিতেই চাদর চাপা দেওয়া, যাতে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। দু’জনেই মৃত বলে জানায় পুলিশ।
দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। চ্যাটার্জিহাট ২২ বাই ২ নন্দলাল মুখার্জি লেনে একটি বহুতলের নীচের তলায় ভাড়া থাকতেন গৌতম মাইতি এবং মৌসুমি নামে এক দম্পতি। তাঁদের দুই মেয়ে। তাদের এক জন নবম এবং অপর জন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তারা দু’জনেই একটি অভিজাত স্কুলের ছাত্রী। সেই পরিবারেই ঘটেছে এমন ঘটনা। পুলিশ দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানিয়েছে, তাদের বাবা পানশালায় কাজ করত। রাতে ১০ টা নাগাদ বাড়ি ফিরত। প্রতিদিনই তাদের মায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হত। যার বিষয় ছিল ফেসবুক। এত ফেসবুক কেন ঘাটো? স্ত্রী মৌসুমিকে বারবার বারণ করত স্বামী গৌতম।
পুলিশ সূত্রে অনুমান, ফেসবুকে ঘাটা নিয়ে আপত্তি ছিল স্বামীর। হয়ত রবিবার সেই মাত্রা বেড়ে যায় দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে স্বামী আত্মহত্যা করার আগে নিজের স্ত্রীকে খুন করেছে কিনা সেটাই তদন্ত করছে পুলিশ। যদিও ফেসবুক নিয়ে ঝগড়ার কথা বাদ দিলে মৌসুমি ও গৌতমের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল বলেই জানিয়েছে প্রতিবেশীরা।