নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোটের দিনই টুইট করে দলনেত্রীর হয়ে ভোট চাওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকেছিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার হাই ভোল্টেজ ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে সকাল থেকেই শাসক ও বিরোধী দলের তরজা শুরু হয়েছিল এই টুইট বিতর্ক নিয়ে। রাজ্য়ের দুই বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছিল বিজেপি। তাঁদের দাবি ছিল ভোটারদের প্রভাবিত করছেন এই দুই তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। বেলার দিকে দুজনেই বিজেপির অভিযোগের কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি কোনও রকম টুইট করতেই জানেন না। তাই তাঁর কোনও টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কে বা কারা তাঁর নামে টুইটার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সেটা জানতে তিনি লালবাজারের সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন। সুব্রতবাবুর কথায়, আমাকেও জানতে হবে কোন সয়তান এই কাণ্ড করল। পুলিশ নিশ্চই তাঁকে খুঁজে বার করবে। পরে অবশ্য তাঁর টুইটার অ্য়াকাউন্ট নিয়ে কলকাতার শেক্সপিয়র সরনি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
অপরদিকে, টুইট বিতর্কের জবাব দিলেন ফিরহাদ হাকিমও। তিনি জানালেন, আমি কোনও প্রার্থীর নাম করে টুইট করিনি। পেন-কলম আছে অভিযোগ জানাবে, চিঠি পেলে নিশ্চই জবাব দেব। ফিরহাদের পাল্টা অভিযোগ, সকাল থেকে অমিত মালব্য টুইট করছেন, তাঁকে কিছু বলছেন না কেন? তিনি আরও বলেন, এই ধরণের কাজ করে থাকে অর্জুন সিংয়ের মতো মানুষরা করে নিজেদের এলাকায়। ব্যারাকপুরে এই কাজই করেন অর্জুন। আমি দুর্বল লোক, মানুষের জন্য় কাজ করি। আসলে হেরে যাবেন বুঝতে পেরেই আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে।
সপরিবার ভোট দিলেন ফিরহাদ হাকিম
বৃহস্পতিবার দুপুরে চেতলা বয়েজ স্কুলে ভোট দিতে সপরিবার পৌঁছে যান ফিরহাদ হাকিম। লাইনে দাঁড়িয়েই তাঁরা ভোট দিলেন। ভোট দিয়ে বের হয়ে কলকাতার মুখ্য প্রশাসক জানালেন, তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেননি। দলের হয়ে ভোট চাওয়ার অধিকার আমার আছে। তিনি ভোটারদের প্রভাবিত করছেন এই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমি কোনও প্রর্থীর নাম নিইনি। রাজ্য়ের তিন আসনেই আমাদের প্রার্থী রয়েছে। দলের একজন সদস্য হিসেবে আমি সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাইতেই পারি। এটা অনৈতিক কোনও কাজ নয় বলে জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরও বলেন, আমি সকাল থেকেই এলাকায় এলাকায় ঘুরছি ভোট পরিচালনা করতে। কিন্তু কোনও বুথে ঢুকিনি, বুথের বাইরে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে বসেই ভোটের শতাংশ জেনেছি।