নিজস্ব প্রতিনিধি: কাঁধে গুরুদায়িত্ব ছিল, তা পূরণ করেছেন মাথা ঠাণ্ডা রেখে। গত ১৯ তারিখ ছিল পরীক্ষা ও ২১ তারিখ ফলাফল। তৃণমূল ঝড়ে কলকাতা পুরসভায় কার্যত খড়কুটোর মত উড়ে গিয়েছে বিরোধীরা। ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৪ টিতে জয় পেয়েছে তৃণমূল। মানুষের রায়ে কাজের চাপ বেড়েছে, প্রত্যাশা বাড়বে অনেক, আগেই জানিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেত্রীর ঘোষণার পর কলকাতা পুরসভার দলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। অর্থাৎ আগামী পাঁচবছরের জন্য কলকাতার পরবর্তী মেয়র ফিরহাদই।
পুনরায় সেই পদ পাওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা তাঁর নির্দেশ পালন করব। এটাই আমি করে যাব। আমৃত্যু সেই কাজ করব আমি। আমরা নির্বাচনের আগে যে ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করেছিলাম তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব। যারা মেয়র পারিষদ হয়েছেন সবাই আমার দলের লোক, সতীর্থ।
সবাইকে নিয়েই কাজ করব, সবাই আমার পার্টির সহকর্মী। দিদিকে প্রণাম করলাম। উনি বললেন, ভাল করে কাজ করো।’ কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে শোভনের ইস্তফা দেওয়ার পর মাঝপথেই হাল ধরতে হয় ফিরহাদ হাকিমকে। সম্মানজনক ও গুরুত্বপূর্ণ এই পদে ফিরহাদের নিয়োগ নিয়ে নাক তোলে কিছু বিদ্দ্বজনেরা। কিন্তু কাজের মাধ্যমেই সমস্ত সমালোচনার জবাব দেন ফিরহাদ। বিশেষ করে করোনা কালে ও আমফান-যশের মত ঘূর্ণিঝড়ে রাস্তায় নেমে কাজ করে মেয়র হিসেবে কলকাতাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম। তাই ববিতেই আস্থা রেখে ফের মেয়র পদে বসানো হয়েছে তাঁকে।
পুনরায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন হয়েছেন ডবল হ্যাটট্রিক করা মালা রায়কে। সেই বিষয়ে মালা রায় জানিয়েছেন, ‘গত পাঁচ বছরে যা অভিজ্ঞতা ছিল সেটাই কাজে লাগাব। বিরোধীদের যে ভূমিকা রয়েছে তাতে আমরা মর্যাদা দিয়েছি। বিরোধীরা যাতে বলতে পারে, বক্তব্য রাখতে পারে, সেটা আমাকে দেখতে হবে। কলকাতা পুরসভায় নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই কাজ করব।’