নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরেই কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদে ইস্তফা দিলেন রাজ্যের আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার, মলয় মজুমদার সহ বাকি ১১ প্রশাসক। ফলে কলকাতা পুরসভা প্রশাসকহীন হয়ে পড়ল। সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার বর্তমান কমিশনার বিনোদ কুমারই আপাতত প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাবেন।
২০২০ সালের মে মাসে কলকাতা পুরসভার ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার বেনজির তাণ্ডবের কারণে ভোট করা যায়নি। ফলে বিদায়ী মেয়র ফেরহাদ হাকিম প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান করে মোট ১৩ জনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করে রাজ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। মূলত বিদায়ী পুরবোর্ডে যাযারা ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তাঁদেরই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। যদিও বিধানসভা ভোটের সময়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের সব পুরসভায় নিয়োগ করা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সরানোর আগেই প্রশাসক পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম সহ অন্যান্যরা। বিধানসভা ভোট মিটে যাওয়ার পরে ফের কলকাতা পুরসভায় প্রাক্তন প্রশাসকমণ্ডলীকেই পুনর্বহাল করে রাজ্য সরকার।
এদিন নগরোন্নয়ন দফতরে গিয়ে যেমন প্রশাসক পদে ইস্তফা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, তেমনই অতীন ঘোষ. দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, রামপেয়ারে রাম, ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়, সামসুজ্জামান আনসারি, মনজার ইকবাল, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, আমিরুদ্দিন ববিও। তবে আর এক প্রশাসক ও ৯৩ ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর রতন দে এদিন ইস্তফা দেননি। কেননা, তিনি এবার আর পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট পাননি। প্রশাসনিক নিয়ম মেনেই ফিরহাদ হাকিম সহ কলকাতা পুরসভার সিংহভাগ প্রশাসক ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।