আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ মায়ের বাড়ি! গৃহহীণদের পাশে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার সন্ধ্যাবেলায় বাগবাজারে হাজারহাত বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হল সারদা মায়ের বাড়ি। বস্তিতে একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে, আগুনের লেলিহান শিখা মায়ের বাড়ির অফিসের একাংশেও ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেও অবশ্য আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের সঙ্গে মহারাজ এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও হাত লাগিয়েছিলেন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে বাগবাজারের হাজার হাত বস্তিতে। সারদা মায়ের বাড়ির পূর্ব দিকে ওই বস্তিটি রয়েছে। হাওয়ার কারণে পুড়ে খাক হয়ে যায় সব কিছু। দমকল ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। মায়ের বাড়ির এক ব্যক্তি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে ওই বস্তিতে। ধোঁয়ায় ঢেকেছে মায়ের বাড়ির বইয়ের গুদাম। মায়ের বাড়ির পিছনের অংশে উদ্বোধনী কার্যালয়ে আগুন লাগে। লাইব্রেরি ও বেশ কিছু কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
তবে বাগবাজারের এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গৃহহীন তথা ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতে এলাকার ৪টি কমিউনিটি হল ও বাগবাজার মহিলা কলেজে গৃহহীন মানুষদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরনিগমের তরফেই। বুধবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুরনিগমের তরফে বস্তিবাসীদের ঘর তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হবে বলে সেই সময়েই তিনি জানিয়ে দেন। দমকলের ২৮টি ইঞ্জিন প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১০টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু তখন বস্তিটির আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। এমনকী, আগুনে লেলিহার শিখার গ্রাসে চলে গিয়েছে সারদা মায়ের বাড়ি লাগোয়া অফিসটিও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খবর দেওয়ার পর অনেক দেরিতে এসেছে দমকল। সেই ক্ষোভে পুলিসের গাড়িতে ভাঙচুর চালান উন্মুত্ত জনতা। অগ্নিকাণ্ডের জেরে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল শোভাবাজার ও বাগবাজার এলাকায়। অফিসটাইমে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, গিরিশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, এমজি রোড, এমনকী বিটি রোডেও। বাগবাজারের বস্তিতে যখন আগুন লাগে তখন গঙ্গাসাগরে ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। বেশি রাতে বাগবাজারে পৌঁছন তিনি। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, 'অগ্নিকাণ্ডে যাঁরা গৃহহীন হয়েছেন, রাতারাতি তাঁদের সকলের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আগামীকাল থেকে কাজ শুরু করে দেবে পুরনিগম। যতদিন না বাড়ি তৈরি হচ্ছে, ততদিন এলাকার ৪টি কমিউনিটি হল ও বাগবাজার মহিলা কলেজে বস্তিবাসীদের থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’ সূত্রের খবর, কমপক্ষে শতাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বাসস্থান চলে গিয়েছে আগুনের গ্রাসে। সারদা মায়ের বাড়ির অফিসের একাংশও আগুনে পুড়ে যায় বলে খবর। তবে ভক্তদের নিশ্চিন্ত করে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মায়ের বাড়ি সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। উদ্বোধন কার্যালয়ের কিছু অংশে আগুন লেগেছিল। তবে এখন সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন। এদিন আগুন লাগার পর পুলিসের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। গিরিশ পার্ক থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে যান চলাচল। ব্যাপক যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তেজনা আয়ত্তে আনতে এলাকায় র্যাফ নামানো হয়। প্রাণহানীর কোনও না পাওয়া গেলেও শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাত ১০টার পরে আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা আপাতত আর নেই বলেই দমকলের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। পাশেই দু’টি বহুতল রয়েছে, সেখানেও আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। সেখানকার বাসিন্দাদেরও বের করে আনা হয়। তবে আগুন নেভাতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে একজন দমকলকর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দমকলের ডিজি জগমোহন। তিনি জানান, কেন আগুন লাগল তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তবে বাগবাজারের এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গৃহহীন তথা ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতে এলাকার ৪টি কমিউনিটি হল ও বাগবাজার মহিলা কলেজে গৃহহীন মানুষদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরনিগমের তরফেই। বুধবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুরনিগমের তরফে বস্তিবাসীদের ঘর তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হবে বলে সেই সময়েই তিনি জানিয়ে দেন। দমকলের ২৮টি ইঞ্জিন প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১০টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু তখন বস্তিটির আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। এমনকী, আগুনে লেলিহার শিখার গ্রাসে চলে গিয়েছে সারদা মায়ের বাড়ি লাগোয়া অফিসটিও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খবর দেওয়ার পর অনেক দেরিতে এসেছে দমকল। সেই ক্ষোভে পুলিসের গাড়িতে ভাঙচুর চালান উন্মুত্ত জনতা। অগ্নিকাণ্ডের জেরে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল শোভাবাজার ও বাগবাজার এলাকায়। অফিসটাইমে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, গিরিশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, এমজি রোড, এমনকী বিটি রোডেও। বাগবাজারের বস্তিতে যখন আগুন লাগে তখন গঙ্গাসাগরে ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। বেশি রাতে বাগবাজারে পৌঁছন তিনি। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, 'অগ্নিকাণ্ডে যাঁরা গৃহহীন হয়েছেন, রাতারাতি তাঁদের সকলের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আগামীকাল থেকে কাজ শুরু করে দেবে পুরনিগম। যতদিন না বাড়ি তৈরি হচ্ছে, ততদিন এলাকার ৪টি কমিউনিটি হল ও বাগবাজার মহিলা কলেজে বস্তিবাসীদের থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’ সূত্রের খবর, কমপক্ষে শতাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বাসস্থান চলে গিয়েছে আগুনের গ্রাসে। সারদা মায়ের বাড়ির অফিসের একাংশও আগুনে পুড়ে যায় বলে খবর। তবে ভক্তদের নিশ্চিন্ত করে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মায়ের বাড়ি সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। উদ্বোধন কার্যালয়ের কিছু অংশে আগুন লেগেছিল। তবে এখন সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন। এদিন আগুন লাগার পর পুলিসের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। গিরিশ পার্ক থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে যান চলাচল। ব্যাপক যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তেজনা আয়ত্তে আনতে এলাকায় র্যাফ নামানো হয়। প্রাণহানীর কোনও না পাওয়া গেলেও শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাত ১০টার পরে আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা আপাতত আর নেই বলেই দমকলের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। পাশেই দু’টি বহুতল রয়েছে, সেখানেও আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। সেখানকার বাসিন্দাদেরও বের করে আনা হয়। তবে আগুন নেভাতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে একজন দমকলকর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দমকলের ডিজি জগমোহন। তিনি জানান, কেন আগুন লাগল তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
More News:
26th January 2021
26th January 2021
26th January 2021
বাংলার সাত পদ্মভূষণ এল একুশের প্রজাতন্ত্রে! ট্যুইট শুভেচ্ছা রাজ্যপালের
26th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
24th January 2021
Leave A Comment