এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

WEB Ad_Valentine



ভূগর্ভস্থ জলে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ফ্লোরাইডের পরিমাণ



নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(WHO) সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিলিটার পানীয় জলে সর্বাধিক ১.৫ মিলিগ্রাম ফ্লোরাইড(Fluoride) থাকা উচিত। মানবদেহে ফ্লোরাইড দু’রকম ভাবে কাজ করে। সেটির মাত্রা প্রতি লিটার জলে ১.৫ মিলিগ্রামের নীচে থাকলে তা উপকারী। দাঁত, হাড় শক্তিশালী করার কাজে লাগে ফ্লোরাইড। তবে সেই মাত্রা প্রতি লিটারে ১.৫ মিলিগ্রামের বেশি থাকলে তা ক্ষতিকারক। শরীরে থাকা ক্যালসিয়াম ভাঙতে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে ডেন্টাল ফ্লুরোসিস (দাঁত ভাঙতে শুরু করা, হলুদ ছাপ পড়া, দাঁতের স্থানচ্যুতি ঘটা), হাড় চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়ার মতো রোগ দেখা দেয়। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া,পুরুলিয়া, বীরভূম জেলায় অনেক আগেই ভূগর্ভস্থ জলে ফ্লোরাইড পাওয়া গিয়েছে। ফ্লুরোসিস আক্রান্ত রোগীও রয়েছে সেখানে। এবার সেই সব জেলার তালিকায় নাম উঠে গেল কলকাতা(Kolkata) লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলারও। এই তথ্য উঠে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadabpur University) School of Environment Studies’র এক গবেষণায়।

আরও পড়ুন রেশনের খাদ্যদ্রব্য অপচয়ের দায় রাজ্যের ঘাড়েই ঠেললো কেন্দ্র

গবেষণার তথ্য বলছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিকের পাশাপাশি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ফ্লোরাইডের পরিমাণ। বারুইপুর ব্লকের ১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টি এলাকার জলে উচ্চ মাত্রায় ফ্লোরাইড পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে ধপধপি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৪৩.৭ শতাংশ পানীয় জলের নমুনায় প্রতি লিটার জলে ১.৫ মিলিগ্রাম ফ্লোরাইড মিলেছে। এ ছাড়াও, সোনারপুর ব্লকের রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকায় দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ণের সঙ্গে সঙ্গে জলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে ভূগর্ভস্থ জলের ওপরে নির্ভরশীল। সেখানে ফ্লোরাইড এবং আর্সেনিকের সর্বাধিক উপস্থিতি ২৪.৪ থেকে ৩০.৫ মিটার গভীরতার স্তরে পাওয়া গেছে। ১৫২ মিটারের নীচে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে সেগুলির উপস্থিতি। ওই স্তর থেকে তোলা জল ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।

আরও পড়ুন রাজ্যের সব পুরসভার নিয়োগ তথ্য চেয়ে পাঠালো ED

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত মাত্রায় ভূগর্ভস্থ জল তুলে নেওয়ার জেরেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। শূন্য থেকে ১৮.৩মিটার গভীরতায় মূলত মাসকোভাইট নামে একটি খনিজ পদার্থের দ্রবীভবন ঘটছে বেশি মাত্রায়। ওই খনিজ ভেঙে গিয়ে ফ্লোরাইড বেরিয়ে জলে মিশে যাচ্ছে। ফ্লোরাইড যুক্ত জলের চরিত্র অতিরিক্ত লবণাক্ত জলের মতো। ওই জল ব্যবহারের আগে ফ্লোরাইড মুক্ত করার Water Plant তৈরির প্রয়োজন আছে বলে গবেষকেরা জানাচ্ছেন। এ ছাড়া, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। গভীর নলকূপের জল ব্যবহারও নিরাপদ। বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশাসনিক স্তরে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন বলেও জানাচ্ছেন গবেষকেরা।



Published by:

Koushik Dey Sarkar

Share Link:

More Releted News:

নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে চলবে বৃষ্টি

জুতোচুরি থেকে পকেটমারি, দলেরই কর্মসূচিতে বিপাকে ৪ মূর্তি

দুদিনের সফরে কলকাতায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

চালু কন্ট্রোল রুম, বন্যা রুখতে ৭ জেলাকে সতর্ক করল নবান্ন

বাপুর আদর্শ তুলে ধরে গান্ধি জয়ন্তীতে গেরুয়া শিবিরকে তোপ মমতার

সোমেও যুবভারতীতে ম্যাচ শেষে মিলবে বাড়তি মেট্রো পরিষেবা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর