নিজস্ব প্রতিনিধি: আরও এক মানবিক পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকারের। বর্তমানে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একমাত্র পেট স্ক্যানের মেশিন রয়েছে কলকাতার(Kolkata) এন আর এস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে(N R S Medical College and Hospital)। সম্পূর্ণ নিখরচে সেখানে গোটা শরীর স্ক্যান করা যায়। বাইরে এই পরীক্ষা করাতে হলে খরচ পড়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। সেই কারণে ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এই পরীক্ষার চাহিদা ব্যাপক। সরকারি ক্ষেত্রে মানুষ নিত্যদিন ভিড় করেন এই পরীক্ষা করার জন্য। এখন এন আর এস হাসপাতালে রবিবার বাদ দিয়ে সপ্তাহে বাকি ৬দিনই ১০ থেকে ১৫ জনের পরীক্ষা করা হয়। আর তার জেরে দেখা যাচ্ছে সেখানে এই পরীক্ষা করার জন্য অন্তত তিন মাসের আগে ডেট মেলে না। কিন্তু ক্যান্সারের(Cancer) মতো অসুখে তিন মাসে অনেক কিছু ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। তাই মানুষের ভোগান্তি কমাতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আরও ৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এই মেশিন(CT Scan Machine) বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য খরচ হবে ৮০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন বাংলায় আরও ৮ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায়
জানা গিয়েছে, পেট স্ক্যান হল এমনই এক পরীক্ষা, যেখানে সংশ্লিষ্ট রোগীর নামে আইসোটোপ আসে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের কোথায় কোথায় ক্যান্সার কোষ আছে, তার অস্তিত্ব যেমন টের পাওয়া যায় তেমনি ক্যান্সার থাকলে তা কতটা আগ্রাসী, অর্থাৎ একাধিক অঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে কি না সেটাও বোঝা সম্ভব হয়। এছাড়াও ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরুর পর কতটা সাফল্য মিলছে, তাও বোঝা যায় এই পরীক্ষার মাধ্যমে। তাই দেখা যায় যে সব রোগীর ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে তাঁদের ৩ মাস অন্তর অন্তর এই সিটি স্ক্যানের নির্দেশ দেন। কিন্তু যেহেতু রাজ্যে মাত্র ১টি সরকারি হাসপাতালে সেই সুবিধা মেলে তাই আমজনতার ভোগান্তি শেষ থাকে না। সেই কথা মাথায় রেখেই মুখ্যম্নত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চলতি বছরের মধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং কলকাতার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এই সিটি স্ক্যান মেশিন বসানো হবে। সবার আগে এই মেসিন বসবে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেই। অনুমান করা হচ্ছে চলতি বছরের শেষ দিকেই এই ৪টি হাসপাতালেই মিলবে বিনামূল্যে সিটি স্ক্যান করানোর সুবিধা।