নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja)। বাঙালি কোনও ধর্ম নয়, জাতি। এই উৎসব মিলনের। রাজ্যের বিখ্যাত ট্যাগলাইন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব (Festival) সবার’। আর এই বাংলার দুর্গাপুজোকেই ‘হেরিটেজ’ (Heritage) স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO)। বিশ্বের দরবারে বাংলার মুখ উজ্জ্বল হয়েছে আরও একবার। কেন্দ্রের তরফে তাই ভিক্টোরিয়ায় আয়োজিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠানের। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে আমন্ত্রিত নন বাংলার (West Bengal) কেউ! বঙ্গের ঐতিহ্য নিয়ে অনুষ্ঠানে বাদ বঙ্গই? আর তা নিয়েই চলছে জোর সমালোচনার ঝড়।
প্রশ্ন উঠছে তবে কি রাজ্যের ঐতিহ্য হাইজ্যাক করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি (BJP) ও বিজেপি শাসিত কেন্দ্র? বঙ্গের দুর্গাপুজো মানেই আলাদা ঐতিহ্য। সেই উৎসবকেই ‘ইনট্যানজিবল হেরিটেজ’ মর্যাদা দিয়েছে ইউনেস্কো। প্রতি বছর দুর্গাপুজো কমিটি গুলিকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান দেয় রাজ্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতার রেড রোডে আয়োজিত হয় বিসর্জন কার্নিভ্যাল।
আর সেই দুর্গাপুজোর ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ সম্মান অর্জনের অনুষ্ঠানে ব্রাত্য রাজ্যই। এতেই ক্ষুব্ধ পুজোর উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের বড় অংশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের এই অনুষ্ঠান বয়কট করছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, পাল্টা প্রতিবাদ সভাও করা হবে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। এই বিষয়েই বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জারি করেছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। এই সংগঠন শারদোৎসবে পালন করে বড় ভূমিকা। সরকারের কাছে পৌঁছে দেয় শিল্পী ও আয়োজকদের সমস্যার কথা। এগিয়ে আসে সমাধানে। পুজোয় সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এই সংগঠন।
তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, রাজ্যের সরকার ও কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের হেয় করতেই এই আয়োজন করা হয়েছে । যেখানে ব্রাত্য রাজ্য। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শিল্পী মহলেও। ক্ষুব্ধ শিল্পীমহল। রাজ্যের উৎসবের সম্মান, রাজ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠান অথচ ব্রাত্য রাজ্য! বইছে নিন্দার ঝড়। অভিযোগ, বাংলার সংস্কৃতিকে হাইজ্যাক করে ঘৃণ্য রাজনীতি করার চেষ্টা চলছে। যদিও ফোরামের দাবি, এতে আদৌ লাভ হবে না আয়োজকদের।