এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পরিস্থিতির শিকার ১৪ হাজার চাকরি প্রার্থী, ভাঙছে ধৈর্যের বাঁধ

নিজস্ব প্রতিনিধি: শেষ মুহূর্তে এসে বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে শুনানি সহ আইনি প্রক্রিয়া। নিয়োগপত্র পাওয়ার আশায় কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর! আদালত এবং সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকা প্রায় ১৪ হাজার প্রার্থীর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। প্রশ্নও উঠছে, তবে সেটা একটাই। কবে পাব নিয়োগপত্র? ওরা বাংলার নিয়োগ দুর্নীতির শিকার হওয়া আন্দোলনকারীরা। গত ২৫ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের মেধা তালিকা হলফনামা আকারে পেশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC। যদিও তা গত বছরই জমা দেওয়ার কথা ছিল। কমিশনের দাবি, আগাগোড়া খতিয়ে দেখে তালিকায় প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে এতটা সময় লেগেছে। জমা দেওয়া হলফনামায় এই বিলম্বের কারণও উল্লেখ করে SSC। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু তা এখনও হয়নি। এই পরিস্থিতিতে চাকরিপ্রার্থীরা কার্যত অস্থির হয়ে উঠেছেন। এখন তাঁদের বক্তব্য, ‘আমরা স্রেফ পরিস্থিতির শিকার। চাকরির পরীক্ষায় সফল হয়ে বসে আছি। কোনও অপরাধ করিনি। তাও নিয়োগপত্র পাওয়ার আশায় কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর!’  

আরও পড়ুন Bank Account Aadhar Link বাধ্যতামূলক লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে

২০১৪ সাল থেকে রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক(Upper Primary Teachers) নিয়োগ হয়নি। ২০১৭ সাল থেকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া একের পর এক আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। মেধা তালিকা তৈরির পরেও তা আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়ে যায়। আদালত তখন সংশোধিত মেধা তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দেয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাও সম্ভব হয়নি। কারণ, SSC নিজেই সেই তালিকায় বিভিন্ন অসঙ্গতি, OMR Sheet-এ হেরফের চিহ্নিত করে। ফলে বিস্তারিত রদবদল করতে হয়। এসব কারণে বারবার পিছিয়েই গিয়েছে নিয়োগ। তৃণমূল(TMC) পরিচালিত সরকারের জমানায় একমাত্র উচ্চ প্রাথমিক স্তরে কোনও নিয়োগ হয়নি। বাকি সব স্তরেই এক বা একাধিকবার নিয়োগ হয়েছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য শিক্ষক  নিয়োগ না হওয়ায় স্কুলগুলিতে বড়সড় শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। উঁচু ক্লাস বা নিচু ক্লাসের শিক্ষকদের দিয়ে পরিস্থিতি কোনওমতে সামাল দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন উত্তরের মাটি ধরে রাখতে ৫ ব্রহ্মাস্ত্রে বাজি মোদির

আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ‘আদালত ছাড়পত্র দিলেই নিয়োগ শুরু করতে পারবে SSC । আমরা শুধু ভাবছি, এই বুঝি শেষ হল আইনি প্রক্রিয়া। এবার কাউন্সেলিং হবে, নিয়োগপত্র পাব। কিন্তু কোথায় কী! এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তাই কোনও যোগ্য প্রার্থী যাতে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য দ্রুত নিয়োগ শুরুর দাবি জানাচ্ছি।’ কিন্তু তারপরেও কবে তাঁরা হাতে নিয়োগপত্র পাবেন তা তাঁরা নিজেরাও জানেন না। উচ্চ আদালতে গেলেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বা হাতে নিয়োগপত্র চলে আসবে সেকথাও কোনও আইনজীবী জোর গলায় বলতে পারছেন না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

উচ্চ মাধ্যমিকে ক্লাস শুরু কবে থেকে, জানাল শিক্ষা সংসদ

ভোটের আগে বিধায়কের পদে ইস্তফা রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর

গরম থেকে বাঁচতে ট্রাফিক পুলিশদের ‘সামার কিট’ বিলি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের

অসুস্থ মুকুল রায়, তড়িঘড়ি ভর্তি করানো হল বেসরকারি হাসপাতালে

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নয়, ঢেউচা-পাঁচামিই বাংলার ভবিষ্যত, নৈতিক জয় তৃণমূলের

শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা আবহাওয়া দফতরের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর