নিজস্ব প্রতিনিধি: ভুয়ো কল সেন্টার খুলে চলছিল প্রতারণা। আর সেই অভিযোগে নয় জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শেক্সপিয়ার সরণির ঊষা মার্টিন বিল্ডিংয়ে হানা দিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। টাওয়ার বসানোর নাম করে অভিযুক্তরা প্রতারণা করছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত নয় জনের নাম, বিশাল রায়, অনীক দাস, বাপান মাইতি, আমন সিং, প্রীতম নস্কর, সোমনাথ দত্ত, মন্তু খান, বিদ্যুৎ রায় এবং জাভেদ আখতার৷ শেক্সপিয়ার সরণির বেআইনি ওই কল সেন্টারে হানা দিয়ে নয়জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তল্লাশি চালিয়ে দুটি ল্যাপটপ, নয়টি মোবাইল, দুটি ল্যান্ড ফোন এবং কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪১৯, ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
অভিযোগ, বিভিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থার প্রতিনিধি সেজে কল সেন্টার থেকে বহু মানুষকে ফোন করা হত। ফোন করে আওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হতো। বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো ভুয়ো ওই সংস্থার তরফে। তাদের এই প্রস্তাবে কেউ টাওয়ার বসানোর জন্য জায়গা দিতে রাজি হলে তার কাছ থেকে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে কিছু টাকা জমা নেওয়া হতো। এভাবেই বহু মানুষের কাছ থেকে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। এইভাবে বহু মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে অভিযানে নামে পুলিশ৷ এর পর শেক্সপিয়ার সরণির ঊষা মার্টিন বিল্ডিংয়ে হানা দিয়ে তৃতীয় তল থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে ভিন্ন পৃথক একটি প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কলকাতার গরফা থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতের নাম অভিনন্দা দাশগুপ্ত। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।