23ºc, Mist
Monday, 27th March, 2023 4:59 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরেই কেন্দ্র সরকার ও দেশের রাজ্য সরকারের হাতে থাকা ১৫ বছরের বেশি পুরাতন প্রায় ৯ লক্ষ গাড়ি অচল হতে বসেছে। কেননা ওই সব গাড়ি ৩১ মার্চের পরে আর কোনও ভাবেই রাস্তায় নামবে না। বায়ুদূষণ(Air Pollution) রোধ করতে কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গাদকারি(Nitin Gadkari) জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের নীতিতে কোনও বদল ঘটছে না। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী কোনও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন রিনিউ তো আর করা যাবেই না, এমনকি মিলবে না পরিবেশের ছাড়পত্রও। দূষণ ছড়ানো গাড়িগুলি রাস্তা থেকে তুলে দিতে ২০২১ সালে স্ক্র্যাপ নীতি চালু করেছে কেন্দ্র। আপাতত সরকারি গাড়ির ওপর এই নীতি লাগু হচ্ছে। আগামী দিনে বেসরকারি গাড়ির ক্ষেত্রেও এই একই নীতি লাগু হবে। এমনকি সেই তালিকায় ব্যক্তিগত মালিকানাধীন গাড়িও থাকবে।
আরও পড়ুন বাংলার ১৫০০ গ্রাম ‘উন্মুক্ত শৌচমুক্ত’, রিপোর্ট কেন্দ্রের
উল্লেখ্য, পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের দায়ের করা এক মামলার জেরে জাতীয় পরিবেশ আদালত(National Green Tribunal) ১৫ বছরের পুরাতন সব গাড়ি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার(West Bengal State Government) সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। সেই মামলাতেই দেশের শীর্ষ আদালত বিএস থ্রি থেকে বিএস সিক্স গাড়িতে পরিণত করার মতো নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। সেই সঙ্গে ওই পরিবেশবিদকেও নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সেই মামলার চূড়ান্ত রায় এখনও দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। গত বছর জুলাই মাসে জাতীয় পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল রায় দিয়েছিল যে, পরিবেশ দূষণ এড়াতে আগামী ছ’মাসের মধ্যে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিল করতে হবে। আর এর জেরেই বাংলার বুকে গণপরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্টের মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরিবেশ আদালতের রায় কার্যকর হবে না।
আরও পড়ুন কেন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে, সামনে এল তথ্য
বাংলার বুকে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে বড় মাধ্যমই হল বেসরকারি বাস পরিষেবা। গত জুলাই মাসে জাতীয় পরিবেশ আদালত যে রায় দিয়েছিল তাতে করে এই সব বেসরকারি বাসগুলির একটা বড় অংশকেই বসিয়ে দিতে হত জানুয়ারি মাসের মধ্যে। কিন্তু সেক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ মানুষকে শুধু যে হয়রানির শিকার হতে হতো তাই নয়, অর্থনৈতিক ভাবেও তাঁদের বড়সড় ধাক্কা খেতে হত। কিন্তু এখন দেশের শীর্শ আদালত সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় এখনই ১৫ বছরের পুরাতন গাড়ি বাতিল হচ্ছে না বাংলার বুকে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কওল এবং বিচারপতি অভয় এস ওকার বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে এবং আগামী দিনে এই বেঞ্চেই মামলাটির শুনানি চলবে। কিন্তু গাদকারি যা জানিয়েছেন তার জেরে রাজ্যের বেসরকারি গণপরিহণের সঙ্গে জড়িত সকলেরই নতুন করে উদ্বেগ শুরু হয়েছে।