নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ টালবাহানা, নানা নাটক, অবশেষে নরম হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিধানসভায় পাশ হওয়া হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিল ২০২১ করলেন সই। যদিও সেই বিষয়ে নিজে কিছুই প্রকাশ্যে বলেননি। সবটাই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মন্ত্রিসভার সম্মতিতে ও বিধানসভায় সকলের সম্মতিতে পাশ হয় হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিল ২০২১। কিন্তু সেই বিলে সই করতে গিয়ে বেঁকে বসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। একাধিক ইস্যু খুঁজে বিল বিধানসভায় ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে স্পিকারের থেকে বিস্তারিত তথ্য তলব করেন। যার ভিত্তিতে ফের একবার রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত চরমে পৌঁছায়।
গত ১৯ ডিসেম্বর এই কারণেই হাওড়া পুরসভায় ভোট করাতে পারেনি কমিশন। বিলের ভিত্তিতেই হাওড়া ও বালি পুরসভা আলাদা হবে। হাওড়ার ৫০ টি ওয়ার্ড ও বালির ১৬ টি ওয়ার্ড আলাদা করে ফের দুটি পুরসভা গড়ার পথে হাঁটে রাজ্য সরকার। তাতে বাগড়া দেন রাজ্যপাল। এই বিষয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন। যার পাল্টা দেন রাজ্যপালও। কিন্তু সেই কড়া মনোভাব কিছুটা নরম করে অবশেষে বিলে সই করে সমস্যার সমাধান করলেন ধনকড়। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে হাওড়ার পুরভোটের কথা জানাতে গিয়েই এই কথা বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বালি এবং হাওড়া পুরসভার সংযুক্তিকরণ করে। বালির ৩৫টি ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের ফলে ১৬-তে এসে দাঁড়ায়।
দীর্ঘদিন ধরেই হাওড়া ও বালিকে আলাদা করার চিন্তাভাবনা ছিল রাজ্যের তরফে। যাতে সম্মতি দেয় রাজ্যের মন্ত্রিসভা। তাতে রাজ্যপাল সই করাতে দুটি পুরসভা আলাদা করাতে বাধা রইল না।