নিজস্ব প্রতিনিধি: হাসপাতালের গাফিলতিতে মৃত্যু করোনা রোগীর। স্বাস্থ্য কমিশনে দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। যার ভিত্তিতে শুক্রবার শুনানিতে অভিযুক্ত হাসপাতালকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করল কমিশন। তপসিয়ার হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিল এক মহিলা। কিন্তু তাঁর ভুল চিকিৎসা করা হয়। যার ফলে মৃত্যু হয়। ট্যাংরার বাসিন্দা ওই মহিলার সেই সময় ডান হাতে থ্রম্বোসিস ছিল যা পরিণত হয় গ্যাংরিনে। এদিকে করোনাও বাড়বাড়ন্ত হয়ে যায়। তাই পরিবারের তরফে ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্যাংরার ওই বাসিন্দার সেখানেই মৃত্যু হয়।
তারপরেই তপসিয়ার বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমিশনে নালিশ ঠুকে দেন পরিবারের লোকজনেরা। যার ভিত্তিতে আজ সেই মামলার শুনানি ছিল কমিশনে। যেখানে পরিবারের লোকজন ও বেসিরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিল। সেখানেই কমিশনের তরফে জানানো হয়, করোনা আক্রান্ত প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর ডান হাতটা কেটে বাদ দিতে হত। তাই ওই হাসপাতালকে দিতে হবে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। চিকিৎসার বিল বাবদ রোগী পরিবারের থেকে নেওয়া ২ লক্ষ ৯০ হাজার ফেরত দিতে হবে। যদিও শুনানিতে নিজেদের ভুল স্বীকার করে বেসরকারি হাসপাতাল ও তাঁদের তরফে কিছুটা কাটছাঁট করার অনুরোধ করা হয়। তখনই ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন।
জানা গিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালকে ১০ দিনের সময় দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। যদি ১০ দিনের মধ্যে পুরো টাকা না দিতে পারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাহলে ৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে তখন কোনও ছাড় বা সময়সীমা থাকবে না। তবে একসঙ্গে না হলেও ধাপে ধাপে দিতে পারবে ক্ষতিপূরণ। সেক্ষেত্রে কোনও একটি কিস্তি মিস করলে অতিরিক্ত ৮ শতাংশ টাকা অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পরিবারকে।