এই মুহূর্তে




তরুণ নরেনের কণ্ঠে যে গান শুনে ভাবসমাধিস্থ হয়েছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় : ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের সম্পর্ক ছিল চিরন্তন। প্রথম সাক্ষাতেই ঠাকুর নরেন্দ্রনাথকে বলেছিলেন, “এত দেরি করে আসতে হয়? তোর কি মায়া দয়া নেই ? কোথায় ছিলি এতদিন ? দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর চেয়ে আছি তোর পথ পানে। কি করে আমায় ভুলে ছিলি ?” কারণ, ঠাকুর তো এসেছিলেন অনেক আগে। ১৮৩৬ সালে। সেখানে, নরেন্দ্র এসেছিলেন ১৮৬৩ সালে। তাও আবার দেখা হয়েছিল ১৮৮১-র নভেম্বর মাসে। বলতে গেলে ঠাকুর যেন নরেন্দ্রের অপেক্ষাতেই ছিলেন।

কথিত আছে, নরেন্দ্রনাথ রামকৃষ্ণ পরমহংসের কথা প্রথম শোনেন জেনেরাল অ্যাসেম্বলি’জ ইনস্টিটিউশনে পড়ার সময়। অধ্যাপক উইলিয়াম হেস্টিংস একটি সাহিত্যের ক্লাসে উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের দ্য এক্সকারশন কবিতাটি পড়ানোর সময় রামকৃষ্ণ পরমহংসের কথা বলেছিলেন। জানা যায়, উক্ত কবিতায় ব্যবহৃত ‘trance’ কথাটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি ছাত্রদের বলেন, ‘trance’ বিষয়টির সত্যিকারের অর্থ বুঝতে হলে ছাত্রদের দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংসকে দেখতে হবে। এই কথা শুনে নরেন্দ্রনাথ সহ কয়েকজন ছাত্র রামকৃষ্ণ পরমহংসকে দেখতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

এরপরই আসে সেই মাহেন্দ্র ক্ষণ। ১৮৮১ সালের নভেম্বর মাসে এফ. এ. পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় রামচন্দ্র দত্ত একবার নরেন্দ্রনাথকে সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রামকৃষ্ণ পরমহংসকে ধর্মোপদেশ দানের জন্য নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই সাক্ষাতকারে রামকৃষ্ণ পরমহংস তরুণ নরেন্দ্রনাথকে একটি গান গাইতে বলেন। নরেন্দ্রনাথ সেদিন যে গানটি প্রথম শ্রীশ্রীঠাকুরকে শুনিয়েছিলেন, গানটি এত মধুর ও সুন্দর, গানটি শুনে ঠাকুরের ভাবসমাধি হয়ে গিয়েছিল। গানটি অযোধ্যানাথ পাকড়াশির রচিত —

“মন চল নিজ নিকেতনে।

সংসার বিদেশে, বিদেশির বেশে, ভ্রম কেন অকারণে॥

বিষয় পঞ্চক আর ভূতগণ, সব তোর পর কেউ নয় আপন।

পর প্রেমে কেন হইয়ে মগন, ভুলিছ আপন জনে॥

সত্যপথে মন কর আরোহণ, প্রেমের আলো জ্বালি চল অণুক্ষণ।

সঙ্গেতে সম্বল রাখ পুণ্য ধন, গোপনে অতি যতনে॥

লোভ মোহ আদি পথে দস্যুগণ, পথিকের করে সর্বস্ব মোষণ।

পরম যতনে রাখ রে প্রহরী শম দম দুই জনে॥

সাধুসঙ্গ নাম আছে পান্থধাম, শ্রান্ত হলে তথা করিও বিশ্রাম।

পথভ্রান্ত হলে সুধাইও পথ সে পান্থ-নিবাসীহলে॥

যতি দেখ পথে ভয়েরি আকার, প্রাণপণে দিও দোহাই রাজার।

সে পথে রাজার প্রবল প্রতাপ, শমন ডরে যাঁর শাসনে॥

মন চলো নিজ নিকেতনে।”




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

উত্তর সিকিম ও দক্ষিণ সিকিমে ব্যাপক তুষারপাত, খুশি পর্যটকরা

আমডাঙায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে অতি দ্রুত বন্ধ কাজ শুরু করতে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

জামতারা গ্যাংয়ের কোমর ভাঙতে অপারেশন ‘সাইবার শক্তি’ রাজ্য পুলিশের

মাত্র ১ টাকায় চিকেন বার্গার! খেতে হলে চটজলদি ঢুঁ মারুন এই রেস্তোরাঁয়

নারকেলডাঙার তৃণমূল কাউন্সিলরকে শোকজ করে ৫ দিনের মধ্যে জবাব চাইল নেতৃত্ব

জন্মদিনই মৃত্যুদিন, বন্ধুদের জন্যে কেক কিনে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু যুবকের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর