নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরে গিয়েও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছেন না বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employees) একাংশ যারা মহার্ঘ্য ভাতা(DA) নিয়ে আন্দোলন করছেন। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court)। সেই দিকে তাকিয়ে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানেও ধাক্কার মুখে পড়তে হল তাঁদের। পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি। আগামী ২৪ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। যদিও এদিনই আন্দোলনকারীরা মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে এবার টানা কর্মবিরতি শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন মিশে যাচ্ছে কী CPI-CPIM, দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে বাম শিবিরে
কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। গত বছর কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) রায় গিয়েছিল সরকারি কর্মীদের পক্ষে। তিন মাসের মধ্যে DA মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানানো হয় রাজ্যের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। মঙ্গলবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলা শুনানির কথা ছিল। কিন্তু এদিন সেই শুনানি আরও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৪ এপ্রিল। এদিনের শুনানির দিকে বড় আশা নিয়ে চেয়ে ছিলেন DA আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তাঁদের এদিনও ধাক্কা খেতে হল। এদিন মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে আশাবাদী ছিলেন আন্দোলনে নামা রাজ্য সরকারি কর্মী্দের একাংশ। কিন্তু তাঁদের সেই আশ এদিনও পূর্ণ হল না।
আরও পড়ুন দলের মুখ পুড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন বিজেপি নেত্রীর
বাংলাতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন মাস ২-৩ ধরে। এমনকি সেই আন্দোলনের অঙ্গ হিসাবে তাঁরা একদিন পূর্ণ কর্মবিরতিও(Lay-off Strike) পালন করেছিলেন মার্চ মাসে। এপ্রিল মাসেও তাঁরা একটি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন কিন্তু সেই ডাকে সেভাবে কেউ সাড়া দেননি। এরপর সেই আন্দোলনের একাংশকে আন্দোলকারীরা দিল্লির যন্তরমন্তরে নিয়ে গিয়েছেন। তার মধ্যেই ছিল মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে সুপ্রিম শুনানি। কিন্তু সেখানেই ধাক্কা খেয়ে গেলেন তাঁরা। DA মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে প্রথম ছিল ৫ ডিসেম্বর। কিন্তু, সেদিন শুনানি হয়নি। এরপর একাধিকবার শুনানি পিছিয়ে যায়। শেষবার গত ২১ মার্চ এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু, তা পিছিয়ে যায় এবং ১১ এপ্রিলের দিনটি নির্ধারিত করা হয়। এদিন তা আরও পিছিয়ে ২৪ এপ্রিলে চলে গেল।