এই মুহূর্তে




‘সিবিআইয়ের কাছে বিচার চাই’, আর জি কর কাণ্ডে সরব মুখ্যমন্ত্রী

Courtesy - Facebook.




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকার(West Bengal State Government) এদিন রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) পেশ করেছে ‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’(Aparajita Bill 2024)। সেই বিলের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) আর জি কর কাণ্ডের(R G Kar Incident) প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সেই সময়েই তিনি বলেন, ‘আমি কারও জ্ঞান শুনবো না। আমার লাইনে আসতে সময় লাগবে। আপনাদের লাইন বেলাইন হয়ে গেছে। ধর্ষনের জন্য নিকৃষ্ট অপরাধীকেও শাস্তি দেওয়ার কথা আমরা বলছি। আজ ৩ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক দিন। ১৯৮১ সালে ওই দিনে মেয়েদের অধিকারী সুরক্ষিত করার জন্য রাষ্ট্র সংঘের নারী বৈষম্য বিরোধী কমিটি হয়। আর জি কর কাণ্ডে আমাদের পুলিশ তদন্ত করছিল। যতদিন তদন্ত কলকাতা পুলিশের হাতে ছিল, আমি কোনও দায়িত্ব পালন করিনি, বলতে পারবেন না। ১২ তারিখ নির্যাতিতার বাড়িতে যাই। যা যা তদন্তে উঠে এসেছিল, সেইসব তার মা বাবার কাছে পাঠান হয়। আমি ওদের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেছি। রবিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত তার আগেই সেই তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। আমরা এখন সেই সিবিআইয়ের কাছেই বিচার চাই(We Want Justice from CBI)।’ 

আরও পড়ুন, নিয়মিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা যাবে না, রাজ্যকে বার্তা হাইকোর্টের

এদিন অপরাজিতা বিলের ওপর আলোচনার জন্য ২ ঘন্টা সময় বরাদ্দ করেছিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য পেশের শুরুতেই শুভেন্দুর তোলা বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের এবং বিরোধী দলের সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করছি। সত্যি-মিথ্যে কী বলব, আপনার থেকে জ্ঞান নেব না। বিরোধী দলনেতা বললেন, বিলটা আইন হিসেবে কার্যকর করতে হবে। রাজ্যপালকে বলুন বিলটা সই করে দিতে। তারপর যদি কার্যকর না হয়, সেটা আমরা দেখব। সারা দেশে যাঁরা ধর্ষিতা হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শোকজ্ঞাপন করছি। সঙ্গে সঙ্গে সারা ভারতে সকল নির্যাতিতার পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। দিল্লির নির্ভয়া-কাণ্ডের পর আমি কবিতা লিখেছিলাম। আপানারা বলেছেন ট্রেনে ধর্ষণ হয়েছে। ট্রেনটা কি আমাদের? রাজ্য সরকারের? ট্রেনের ভিতরের সুরক্ষার দায়িত্ব আরপিএফের। সেটা তাদের ব্যর্থতা। দেশে ধর্ষণের মতো ঘটনায় শাস্তির সংখ্যা খুব কম। ৭৬ শতাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত করে চার্জশিট পেশ করেছে। মাত্র ২.৫৬ শতাংশ ক্ষেত্রে অপরাধী দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুন, লাভলিকে কড়া বার্তা তৃণমূলের, থানায় FIR সিপিআইএম নেতার

মমতা এদিন তাঁর বক্তব্যে কামদুনির প্রসঙ্গও টেনে আনেন। কেননা শুভেন্দু তাঁর বক্তব্যে কামদুনি প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন। তাঁর উত্তরেই মমতা বলেন, ‘৭ জুন, ২০১৩ ঘটনাটি ঘটেছিল। তিন সপ্তাহের মধ্যে সিআইডি চার্জশিট দিয়েছিল। ১০ জুলাই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত রায় দেয় ২০১৬-র ২০ জানুয়ারি। কোর্টটা তো আমাদের হাতে নেই। কোর্টটাতো আপনাদের হাতে আছে। একটাও ঘটনা ঘটা উচিত নয়। বাংলার নামে সবাই কুৎসা করে বেড়াচ্ছেন। এটা করে আপনারা আরজি করের ঘটনাকে লঘু করে দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারই বলছে কলকাতা সবথেকে নিরাপদ শহর। উত্তর প্রদেশে ৭ লক্ষ, গুজরাটে ৫ লক্ষ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে এই বিলে। আদালতের অনুমতি ছাড়া যাতে মহিলা বা শিশুর পরিচয় সামনে না আসে, সেটাও বলা আছে বিলে। এই ক্ষেত্রেও আমরা ৩ থেকে ৫ বছরের সাজার প্রস্তাব রাখছি। আপনারা এই সব বলছেন উন্নাওয়ের কথা বলবেন না। হাথরসের ঘটনায় বিচার পায়নি কেউ। এই গুলো ফলিয়ে বলার কথা নয়। ওই সমস্ত ঘটনা লজ্জার। যে বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, যে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তাকে ফুল মালা দিয়ে সংবর্ধনা! ধর্ষণে উসকানি নয়?’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ছেন জহর, চিঠি তৃণমূল নেত্রীকে

পিছন থেকে আন্দোলনে মদত যুগিয়ে এখন হাত কামড়াচ্ছে বিজেপি

রবিবার হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা রুটে মেট্রো পরিষেবা রাতের দিকের সময় বাড়ছে

বড়বাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের নকল প্রসাধনী দ্রব্য আটক করল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ

কিয়স্ক করতে দেব না, কিন্তু আবার রোগী মারা যাবে, এটা ঠিক নয় : ফিরহাদ হাকিম

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর