নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাঙ্ক আধিকারিক হিসেবে কর্মজীবনের শুরু করেছিলেন কলকাতায়। সেই সূত্রেই বাংলার সঙ্গে একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই সম্পর্কের সূত্রেই সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যের মানুষের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই সঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘বাংলার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের জন্য প্রতিদিন একটা করে বাংলা শব্দ শিখবেন।’ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে প্রাক্তন আমলা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরম ভক্ত সিভি আনন্দ বোসকে নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য ১৭ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনকড়। তাঁর জায়গায় অস্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছিল মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনকে। কিন্তু রাজ্য সরকারের সঙ্গে তিনি পায়ে পা বাঁধিয়ে সঙ্ঘাতে না জড়ানোয় গোঁসা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে কাউকে পাঠানোর দাবি জানিয়ে দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবারও করেছিলেন। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সেই দাবি মেনে এদিন প্রাক্তন আমলা সিভি আনন্দ বোসকে স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পরে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নয়া রাজ্যপাল বলেন, ‘ ‘রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় রাজ্যে একজন সক্রিয় রাজ্যপাল হিসেবেই কাজ করব। সংবিধানের পরিধির মধ্যে থেকে যাতে নির্বাচিত সরকার মসৃণভাবে কাজ করতে পারে তা সুনিশ্চিত করব। বাংলার মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করব।’ রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।’ মাতৃভাষা মালায়ালি হলেও বাংলার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়তে প্রতিদিনই একটি করে বাংলা শব্দ শিখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি এদিন ভাঙা বাংলায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতার পংক্তি ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির’ আবৃত্তিও করেন বাংলার নয়া রাজ্যপাল।