এই মুহূর্তে




KMC এলাকায় রাস্তার পাশে বাড়ি বানাতে গেলেই গুনতে হবে Development Fee

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: শহর কলকাতায়(Kolkata) ওয়ার্ডের সংখ্যা এখন ১৪৪। এর মধ্যে মূল কলকাতা হল ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত। বাকি ১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডগুলি হল সংযোজিত এলাকা। সেই সব এলাকায় এখনও বেশ কিছু কাঁচা রাস্তা(Dirt Road) রয়ে গিয়েছে। আছে অনেক Common Passage-ও। অথচ এরকম সিংহভাগ রাস্তার অস্তিত্ব কলকাতা পুরনিগমের কোনও রেকর্ডে নেই। মূল কলকাতার মধ্যেও এমন এলাকা রয়েছে যেখানে প্লট ভেঙে একাধিক বাড়ি গড়ে উঠলেও সেখানে কাঁচা রাস্তা রয়ে গিয়েছে এবং তার রেকর্ড কলকাতা পুরনিগমের রেকর্ডে নেই। এই সব ক্ষেত্রে এবার এমন সব কাঁচা রাস্তার ধারে বাড়ি বানাতে গেলে বাড়ির মালিককে গুণতে হবে উন্নয়নের কর বা Development Fee। সম্প্রতি কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং তা পুর-অধিবেশনে পেশ করার পরে তা অনুমোদনও পেয়েছে।   

আরও পড়ুন, কৃষকদের সুবিধা প্রদানে ২টি বড় পরিবর্তন ঘটে গেল বাংলা শস্য বিমা যোজনাতে

নতুন তাহলে কী নিয়ম নিয়ে এল কলকাতা পুরনিগম? নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, শহরের বুকে পুরনিগমের রেকর্ড নেই এমন ধরনের কাঁচা রাস্তা বা কমন প্যাসেজের ধারে বাড়ি তৈরির জন্য Building Plan অনুমোদনের সময় Development Fee দিতে হবে বাড়ির মালিককে। এক্ষেত্রে ১ কাঠা পর্যন্ত জমিতে প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা, ১ কাঠার বেশি থেকে ৩ কাঠা পর্যন্ত জমিতে প্রতি বর্গফুটে ৮ টাকা এবং ৩ কাঠার বেশি জমিতে বাড়ি করতে হলে প্রতি বর্গফুটে ১০ টাকা হিসাবে Development Fee জমা দিতে হবে। এই নিয়ম শুধু সংযোজিত এলাকাতেই নয়, সমগ্র পুরনিগম বা KMC এলাকাজুড়েই লাগু হচ্ছে। কলকাতা পুরনিগমের আধিকারিকদের দাবি, মূলত সংযুক্ত এলাকা অর্থাৎ যাদবপুর, ই এম বাইপাস, বেহালা, জোকা, ঠাকুরপুকুরের মতো অঞ্চলেই নয়া এই নিয়ম বেশি প্রযোজ্য হবে। কারণ, পুরনিগমের রেকর্ডে না থাকা রাস্তা বা প্যাসেজের সংখ্যা এসব অঞ্চলেই বেশি।   

আরও পড়ুন, বাংলার ২৮টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ৪০ কোটির বরাদ্দ রাজ্যের

পুরআধিকারিকদের দাবি, অনেক সময় দেখা যায়, বড় কোনও জমি কয়েকটি প্লটে ভাগ করে বিক্রি করা হয়েছে। কোথাও আবার পুকুরপাড়ে তৈরি হয়েছে যাতায়াতের রাস্তা, যার কোনও তথ্য পুরনিগমের রেকর্ডে নেই। কোথাও আবার চাষের জমি বা ভরাট হয়ে যাওয়া জলাজমি প্লট করে বিক্রি করা হয়েছে। সেখানে একাধিক বাড়িও রয়েছে। এখনও অনেক প্লট খালি পড়ে আছে। দু’দিকের বাড়ির মাঝে তৈরি হয়েছে Common Space। মানুষ এসব রাস্তায় যাতায়াত করলেও এখনও সেগুলি Undeveloped অবস্থায় রয়েছে, এই ধরনের কাঁচা রাস্তা পাকা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ আসে। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় নিকাশি ও আলোর ব্যবস্থাও করতে হয়। এসব কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা বা জায়গাটির কোনও অস্তিত্বই নেই পুরনিগমের রেকর্ডে। এরকম এলাকায় রাস্তা, পানীয় জল, নিকাশি ইত্যাদি পুর-পরিষেবা দেওয়ার জন্য Development Fee চালু করা হচ্ছে। এমন জায়গায় এতদিন অনুরোধ এলে পুরনিগম রাস্তা তৈরি করে দিত। তারপর তা পুরনিগমের রেকর্ডে ঠাঁই পেত। আবার অনেক সময় সংশ্লিষ্ট বাড়িরগুলির মালিকপক্ষ পুরনিগমকে রাস্তার জমি দান করে দেন। এবার থেকে এরকম সবক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট কর দিতে হবে নাগরিকদের।   




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজপথে জনতার আন্দোলনের ঢেউয়ে জৌলুশ হারিয়েছে রবিবারের পুজোর মার্কেট

আরজি কর কাণ্ডে মহানগরীর পথে ‘ইনসাফ’ চেয়ে রিক্সা চালকদের প্রতিবাদ মিছিল

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে আমজনতার সাহায্য চাইল সিবিআই

বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ

‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়’, জহরকে নিশানা সৌগতের

‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর