এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

লড়াইয়ের সম্ভাবনা মাত্র ১০ আসনে, চমকে গেলেন শাহ

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার লোকসভা কেন্দ্রেগুলিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা নিজেদের মতো করে যে সমীক্ষা চালাচ্ছিলেন, তা প্রাথমিকভাবে শেষ হয়েছে। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে দলের সেকেন্ড ইন্ড কম্যান্ড তথা দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের(Amit Shah) কাছে। আর সেই রিপোর্ট দেখে নাকি রীতিমত চমকে গিয়েছে শাহ। আর তার জেরেই তড়িঘড়ি করে বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) কাছ থেকে তিনি পাল্টা রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। সেই রিপোর্টে দুটি বিষয় জানাতে বলা হয়েছে, এখনই যদি লোকসভা নির্বাচন হয়, তাহলে বাংলা থেকে বিজেপির কত আসন মিলবে এবং ২০২৪-র ভোটে কত আসন মিলবে। কার্যত বঙ্গ বিজেপির নেতাদের তিনি আলাদা আলাদাভাবে লোকসভা আসনভিত্তিক সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর মোট ৩টি রিপোর্টের তুল্যমূল্য বিচার করবেন তিনি। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন দেশে প্রথম, পিচের সঙ্গে প্লাস্টিক মিশিয়ে রাস্তা মমতার বাংলায়

কিন্তু কী এমন রিপোর্ট জমা পড়ল শাহের কাছে যা দেখে তিনি চমকে গিয়েছেন? শাহ চলতি বছরেই চড়কের দিন বাংলায় এসে সিউড়ির জনসভা থেকে বাংলার মানুষের কাছে আর্জি জানান, ২৪’র ভোটে বাংলা থেকে ৩৫টি আসনে বিজেপিকে জিতিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী বানাতে। কিন্তু খোদ বিজেপির বিস্তারত থেকে পর্যবেক্ষকদের(Party Observers) করা যে সমীক্ষার রিপোর্ট শাহের কাছে জমা পড়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ৩৫টি আসন জেতা তো বহু দূরের কথা, উনিশে জেতা ১৮টি আসনও বিজেপি ধরে রাখতে পারবে কিনা সন্দেহ। কেননা বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের(Constituency) মধ্যে মাত্র ১০টি আসনে বিজেপি লড়াই করার মতো জায়গায় আছে। বাকিগুলিতে তাঁরা দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ হতে পারে। ১০টি আসনে লড়াই করে ঠিক কত আসন শেষ পর্যন্ত আসবে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এই ১০টি আসন হল – কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বনগাঁ, রানাঘাট, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, কাঁথি, তমলুক ও আরামবাগ। এই খারাপ অবস্থার নেপথ্যে রয়েছে দলের জনপ্রিয়তা হ্রাস, গ্রহণযোগ্যতার অভাব, জনপ্রিয় ও সর্বজনগ্রাহ্য নেতার অনুপস্থিতি এবং সর্বোপরি সাংগাঠনিক দুর্বলতা।

আরও পড়ুন ITI ও Diploma কলেজ পড়ুয়াদের জন্য চাকরির ব্যবস্থায় রাজ্য

একুশের ভোটে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব শাহকে কার্যত আশ্বাস দিয়েছিলেন, বাংলায় পরিবর্তন কার্যত সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সেই আশ্বাসে ভেসেই তিনি বাংলায় হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ‘আবকে বার ২০০ পার’। বাস্তবে সেই দৌড় থেমে যায় মাত্র ৭৭ আসন পেয়ে। এবার তাই প্রথম থেকেই সাবধানী হয়েছেন শাহ। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের পাঠানো রিপোর্টকে চোখ বুজে ভরসা না রেখে বেশি করে ভরসা রাখছেন দলের পাঠানো পর্যবেক্ষক ও বিস্তারকদের ওপর। কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরতলিতে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতিই সবথেকে বেশি চিন্তায় রাখছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। এই মুহূর্তে ভোট হলে তো কথাই নেই, কলকাতা এবং শহরতলিতে সাংগঠনিক পরিস্থিতির যদি উন্নতি ঘটানো না যায়, তাহলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ওইসব এলাকায় কত ভোট মিলবে, তা নিয়েই হিসেব চলছে। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই যে শাহ কার্যত বুজেহ গিয়েছে বাংলা থেকে ২৪’এ ৩৫ আসন বার করা তো দূরের কথা জেতা ১৮টি আসনও ধরে রাখা যাবে কিনা সেটাও সন্দেহ ও প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

১৯ লক্ষ মানুষের মাথায় পাকা ছাদ, ‘গৃহশ্রী’ পোর্টাল আনছে রাজ্য

কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে

‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট আদালতে জমা ইডির

নিউটাউনে পরিত্যক্ত বহুতল থেকে উদ্ধার যুবকের নিথর মৃতদেহ

ভোট পেতে কুণাল ঘোষকে ফোন কংগ্রেস প্রার্থী  প্রদীপ ভট্টাচার্যের

২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর