নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় এবার বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ শানাল তৃণমূল। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় নাম রয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও। কিন্তু বেছে বেছে শুধু তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদেরই নাম তোলা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এই মামলায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্যের মতো হেভিওয়েটদের।
সাংবাদিক বৈঠকে এদিন তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে বলা হয়, এই তালিকায় নাম রয়েছে একাধিক সিপিআইএম ও কংগ্রেসের নেতাদেরও। ব্রাত্য বসুর পেশ করা তালিকায় নাম রয়েছে অধীররঞ্জন চৌধুরী, আবু হেনা, সূর্যকান্ত মিশ্র, নেপাল মাহাতো, কান্তি গাঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্যের। নাম রয়েছে বিজেপি নেতাদেরও।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই মামলা আদৌ জনস্বার্থের জন্য করা হয়নি। করা হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থে, নজরে আসার জন্য এই মামলা করেছেন কেউ। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের সম্পত্তি কতগুণ ও কী ভাবে বেড়েছে তা খতিয়ে দেখা হয় না কেন? তিনি বলেন, ‘আয় করা বা রোজগার করা কোনও অন্যায় নয়। সম্পত্তি মানুষ বাড়াতেই পারে।’ মন্ত্রীর বক্তব্য, তাঁর এলাকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সকলের কাছে জিজ্ঞাসা করা হোক,ফিরহাদ কোনও বেআইনি কাজ করে কি না। এরপরেই ফিরহাদ বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছে, তাতে আমরা লজ্জিত। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়েছে মানেই অপরাধী সবাই নয়। তদন্তে সঠিক তথ্য উঠে আসুক।’
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, যার যা সম্পত্তি সব কিছুর তথ্য দেওয়া আছে নির্বাচনের হলফনামায়। মিথ্যে কাদা ছেঁটানো হচ্ছে। আয়কর দফতর এনিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেনি।’ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সাফ কথা, সব দলের নেতাদেরই সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় নাম রয়েছে। কিন্তু স্রেফ রাজনৈতিক কারণে তৃণমূলের মন্ত্রীদের নাম সামনে আনা হচ্ছে।