এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মহারাষ্ট্রের পরে কি এবার বাংলা, নজরে তৃণমূল বিধায়কেরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: মারাঠাভূমে রাজনৈতিক অস্থিরতা চূড়ান্তে পৌঁচেছে। যে কোনও দিন পতন ঘটতে পারে উদ্ধব ঠাকরের(Udhav Tahkrey) সরকারের। সেই ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ধাক্কা খাবে শিবসেনা(Shivsena)। ধাক্কা খাবে এনসিপি ও কংগ্রেসও। যা পরিস্থিতি তাতে হয়তো মহারাষ্ট্রের(Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদে আরও একবার দেখা যেতে পারে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকেই। সেক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে নতুন সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মারাঠাভূমে কার্যত পতন হতে চলেছে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট সরকারের। কিন্তু তারপর কী? এখানেই উঠছে প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) কিন্তু জানিয়ে দিয়েছেন, ‘অসাংবিধানিক ভাবে, হাওয়ালার টাকা দিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে যা ঘটছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গণতন্ত্রের ওপর দিয়ে বুলডোজার চালানো হচ্ছে। আজ মহারাষ্ট্রে হচ্ছে, কাল অন্য রাজ্যেও বিজেপি(BJP) একই খেলা দেখাবে।’ আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, মহারাষ্ট্রের পরে কী এবার পালা বাংলার(Bengal)? এখানেও কী একই ঘটনা ঘটতে পারে?

বঙ্গ বিজেপি নেতাদের অভিমত, মহারাষ্ট্রে এই অস্থিরতা তৈরির নেপথ্যে রয়েছে উদ্ধব ঠাকরের বেইমানি। তিনি বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। রাজ্যের মানুষ বিজেপি শিবসেনা জোটের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। বিজেপি একাই ১০৬টি আসন পেয়ে রাজ্যে বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসে। সেই হিসাবে বিজেপি’রই সরকার গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের জন্য। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে এতটাই লালায়িত হয়ে পড়েন যে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে তিনি এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করেন। এখন বিজেপি পিছন থেকে যা করছে সেটা উদ্ধবের বেইমানির বদলা নেওয়ার জন্যই। এখন যা অবস্থা উদ্ধবের হাত থেকে শুধু যে মুখ্যমন্ত্রীত্ব যেতে বসেছে তাই নয়, হয়তো শিবসেনা দলটাও বেড়িয়ে যাবে। বাংলাতেও নাকি উনিশের লোকসভা ভোটের পরে এই রকম এক পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাংলায় ২০০’র ওপর বিধায়ক থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) অত বেশি সংখ্যক বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চায়নি। তাই বাংলায় সরকার ফেলে দেওয়া যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকেই গিয়েছিলেন।

কিন্তু আগামী দিনে? মহারাষ্ট্রের মতো অবস্থা কী হতে পারে বাংলায়? ওয়াকিবহাল শিবিরের অভিমত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন রাজনীতির বৃত্তে কার্যকরী অবস্থায় থাকবেন, ততদিন এই ধরনের ঘটনা ঘটানো খুব মুশকিল। কেননা মমতা রাস্তা থেকে আন্দোলন করে রাজ্যের ক্ষমতার শীর্ষে উঠে আসা নেত্রী। দলের ওপর, আমজনতার ওপর, আমলাদের ওপর, পুলিশ-প্রশাসনের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব রকমের। বিজেপি কেন ভারতের কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষেই সম্ভব নয় এই নিয়ন্ত্রণের রাশ আলগা করে দেওয়া। মমতার বিরুদ্ধে বা দলের বিরুদ্ধে ২-১জন বিধায়ক বিদ্রোহ করতেই পারে। কিন্তু তা কখনই দলে দলে বিদ্রোহ হবে না। তাছাড়া এখন তৃণমূলের হাতে প্রায় ২২০জন বিধায়ক রয়েছে। কিছু বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়কের সমর্থনও রয়েছে। তাই বিজেপি’র পক্ষে বাংলার বুকে মহারাষ্ট্রের মতো ঘটনা ঘটানো কার্যত এই মুহুর্তে অসম্ভব। তাছাড়া মারাঠাভূমে বিজেপির যে জনসমর্থন বা জনপ্রিয়তা কিংবা গ্রহণযোগ্যতা আছে তার ছিঁটেফোঁটা বাংলায় নেই। সেটা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও খুব ভাল করেই জানে। আর তাই বঙ্গ বিজেপির নেতারা বার বার বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করলেও সেই দাবি কানে তোলেননি মোদি-শাহ-নাড্ডারা। বরঞ্চ তাঁরা রাজ্যে দলকে আন্দোলন করেই পায়ের নীচের মাটি শক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে মমতার অবর্তমানে বিজেপি বাংলার বুকেও কিন্তু মহারাষ্ট্রের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। তখন অভিষক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে দলের ক্ষমতা, সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা বিজেপি চালাতেই পারে। তবে সেই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আসবেই এমন কথা জোর দিয়ে বলা যায় না। আবার আসবে না সেটাও জোর দিয়ে বলা যাবে না। এটা ঘটনা যে ঠাকরে পরিবারের আর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই দলের বিধায়কদের ওপর। তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে কিন্তু দলের সব বিধায়কেরাই রয়েছেন। তাছাড়া মহারাষ্ট্রের ঘটনার পরে তৃণমূলের সব বিধায়কদের নিয়েও বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে জোড়াফুল শিবির, সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। তাই এখনই বাংলায় অঘটনের কোনও সম্ভাবনা নেই। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

রেকর্ড গরম কলকাতায়, ৫০ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন সদস্য, বিশাখাপত্তনম থেকে এল সাদা বাঘ

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিন চলবে অতিরিক্ত মেট্রো, জেনে নিন সময়সূচি

২৬ হাজার চাকরিহারা পাবেন এপ্রিল মাসের বেতন, জানাল শিক্ষা দফতর

২ মাসের মধ্যে ৮৬৭ শূন্যপদে দিতে হবে চাকরি, প্রাথমিকে নিয়োগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর