নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় সরকারের হারে মহার্ঘভাতার (DA) দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ অনশন করছে। আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি জানাতে শনিবার আন্দোলনকারীদের মঞ্চে গিয়ে একদিনের অনশনে বসলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawshad Siddique)।
শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ ধর্মতলার (Dharmatala) অনশনমঞ্চে যোগ দেন ভাঙড়ের বিধায়ক। ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবির সমর্থনে নিজেও অনশন শুরু করেন। সংবাদমাধ্যমকে নওশাদ বলেন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তিনি নির্জলা উপবাস (Hunger Strike) করবেন। রাজ্য সরকারকে সমালোচনা করে ভাঙড়ের (Bhangar) বিধায়কের স্পষ্ট বার্তা, ডিএ দিলে আন্দোলন উঠবে। তাঁর কথায়, ‘ডিএ যদি না পাওয়া যায়, তাহলে এই আন্দোলন আরও ছড়িয়ে পড়বে। সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে শনিবার থেকে ডিএ আন্দোলনকারীরা ‘ডিজিটাল অসহযোগ’ (Digital Non-Cooperation) আন্দোলন শুরু করেছেন। কোনও সরকারি কাজে নিজেদের মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এমনকি হোয়াটস্যাপে আসা সরকারি নির্দেশিকাও মানবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসনিক কাজের সমস্ত নির্দেশিকা অফিস টাইমে এবং অফিসের কম্পিউটারে পাঠাতে হবে। অফিস টাইমের বাইরে তাঁরা কোনও হোয়াটস্যাপ মেসেজও খুলে দেখবেন না।
উল্লেখ্য ডিএ আন্দোলনকারীদের অনশন শনিবার ৫০ দিন পেরিয়ে ৫১ দিনে পড়েছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এর দাবির পাসাপাশি তাঁরা বকেয়া ডেএ এর ও দাবি তুলেছেন। গত ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা।