এই মুহূর্তে




‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়’, জহরকে নিশানা সৌগতের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল আগেই। নেহাত দলের সাংসদ ছিলেন বলে কেউ প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতেন না। কেননা তাতে দলকেই বিড়াম্বনায় পড়তে হতো। কিন্তু এখন তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আর দলের সাংসদ হিসাবে কাজ করতে চান না। দলের রাজ্যসভার সাংসদ(TMC MP) পদ থেকে ইস্তফা দিতে চান তিনি। সেই সঙ্গে রাজনীতির জগতও ছাড়তে চান। আর তার পরে পরেই এবার শুরু হয়েছে ক্ষোভ বর্ষণের পালা। অভিমুখে আপাতত তিনি একাই। মানে জহর সরকার(Jahar Sircar)। তৃণমূলের একের পর এক নেতা মুখ খুলছেন তাঁর বিরুদ্ধে। সকালে নাম না করেই তাঁকে নিশানা বানিয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। আর এবার দুপুরের দিকে তাঁকে নিশানা বানালেন তৃণমূলের আরেক সাংসদ সৌগত রায়(Sougata Roy)। তবে সৌগতবাবু যে জহরকে নিয়ে এই প্রথম মুখ খুলেছেন এমন নয়, তিনি এর আগেও জহরকে নিয়ে সরব হয়েছেন। 

আরও পড়ুন, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবাস উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই শুরু

শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার কিছু দিন পরেই গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন জহর। দলের এক দিক পচে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বাড়ির লোকেরা ও বন্ধুবান্ধবেরা তাঁকে রাজনীতি ছাড়তে বলেছেন বলেও দাবি করেছিলেন। সেই সময় জহরের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছিলেন সৌগত। বলেছিলেন, ‘জহর সরকার কোনও দিন তৃণমূলের মিছিলে হাঁটেননি। ওকে সবচেয়ে লোভনীয় পদ রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল দল। তিনি কিনা দলের ভিতরে না বলে প্রকাশ্যে দলবিরোধী কথা বলে দিলেন! এটা খুবই লজ্জার কথা। ওর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ দল অবশ্য সেই সময় জহরের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে এবার আবার জহরকে নিশান বানিয়েছেন সৌগত। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘দলের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নেই। পাবলিকের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ভাল কাজ করবেন ভেবে অন্য ক্ষেত্রের অনেককেই নিয়ে আসেন আমাদের নেত্রী। কিন্তু এদের কেউ কেউ ব্যক্তিকেন্দ্রীক। শুধু নিজেরটা ভাবেন। কোনও বিরুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলেই পালাতে চান আর দলকে অস্বস্তিতে ফেলেন। এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়।’

আরও পড়ুন, ‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

জহরকাণ্ডে তৃণমূল যে অস্বস্তিতে পড়েছে এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। কিন্তু জহর দল ছাড়ার অর্থ তৃণমূল ডুবে যাচ্ছে, এতটা সরলীকরণ না করে নেওয়াই ভালো। কেননা একটা কথা মনে রাখা উচিত, তৃণমূলের প্রতিটি ভোট পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নামে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। সেখানে কে জহর, কে সৌগত, তা আমজনতা দেখেন না। আর এটাই তৃণমূলের ক্ষমতার অন্যতম উৎস। আমজনতার সঙ্গে মমতার এই নাড়ীর যোগ কেউ অস্বীকার করতে পারেন না। যাদের আজ আমজনতা সেজে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে, আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে, এরা কিন্তু কোনওদিন বিজেপি(BJP) শাসিত কোনও রাজ্যের কোনও ধর্ষণ, গণধর্ষণ নিয়ে সরব হননি। না ব্যক্তিগত ভাবে না দলগত ভাবে। না সোশ্যাল মিডিয়াতে, না রাস্তাঘাটে। এমনকি মণিপুর নিয়েও তাঁদের কোনও দুঃখ ছিল না। যত দুঃখ আর জি করকে ঘিরেই। যত আন্দোলন আর জি করকে ঘিরেই। দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ। এটাই এদের একমাত্র এজেন্ডা। নির্যাতিতা সুবিচার পেলেন কিনা সেই নিয়ে তাঁদের আর কোনও মাথা ব্যাথা নেই। জহরও এদেরই একজন। এদের মতো পাবলিকেরা যত তাড়াতাড়ি তৃণমূল ছেড়ে চলে যাবেন, ততই তৃণমূলের মঙ্গল, বাংলার মঙ্গল, দেশের মঙ্গল, দশের মঙ্গল। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিনদুপুরেই ডাকাতি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির, মাত্র ৬.৫ কিমি দূরের গন্তব্যের ভাড়া ৪৩৬ টাকা!

মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ জানানো যাবে না, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি IMA’র রাজ্য শাখার, ক্ষুব্ধ জনতা

অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার জন্য ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন

ত্রিধারার মণ্ডপে ‘বিচার চাই’ শ্লোগান দেওয়া ৯ জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠাল আলিপুর আদালত

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর