নিজস্ব প্রতিনিধি: পরিবর্তনের পরে ২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৫ ওয়ার্ড বিশিষ্ট বালি পুরসভাকে ১৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম দিকেই ইঙ্গিত মিলেছিল রাজ্য সরকার আবারও বালিকে হাওড়া পুরনিগম থেকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথক পুরসভা হিসাবেই গঠন করতে চলেছে। রাজ্য বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে ইতিমধ্যেই পাশ করানো হয়েছে হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল ২০২১। কিন্তু সেই বিলে এখনও অনুমোদন দেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর তার জেরে আটকে গিয়েছে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ। কেননা এদিনই রাজ্য নির্বাচন কমিশন কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পথে হাঁটা দিয়েছিল। কিন্তু হাওড়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিয়েছে রাজ্যপাল এখনও হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল ২০২১-এ সই করতে না চাওয়ায়।
রাজ্য সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বালিকে হাওড়া পুরনিগম থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরে অবশিষ্ট ৫০টি ওয়ার্ড নিয়েই হাওড়া পুরনিগম থাকবে। সেই ৫০টি ওয়ার্ডেই ভোট করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু হাওড়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বালির ১৬টি ওয়ার্ডে কবে ভোট হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আর এই জায়গাতেই রাজ্যপালও সই করতে চাইছেন না বলেই সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা ১৯ ডিসেম্বরই কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমে ভোট করতে চাইছেন। কিন্তু দ্রুত বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার পথে তাঁরা হাঁটতে চান না। ঘটনাচক্রে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন দুপুর ৩টের সময় সেই বৈঠক হওয়ার কথা। কমিশন সূত্রে খবর সেই বৈঠকের পরেই পরিষ্কার হবে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে কি যাবে না। তবে আশা করা হচ্ছে বৈঠকের পরে ওই সংশোধনী বিলে সই করতে রাজ্যপাল আর আপত্তি করবেন না।