নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার কথা ভেবে ভেবে রাতে দুশ্চিন্তায় যার ঘুম হচ্ছে না তিনিই বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর নামটুকুও জানেন না। নজরে বাংলার শাহী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankar)। সোম সকালে তিনি জরুরি ভিত্তিতে রাজভবনে(Rajbhawan) তলব করেছেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) ও শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে(Manish Jain)। আর সেই কথা তিনি বেশ গর্বের সঙ্গে টুইট(Tweet) করেও জানিয়েছেন। আর সেখানেই করে বসেছেন মস্ত বড় ভুল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর তিনি নাম লিখেছেন, ব্রাত্যব্রত বসু রায় চৌধুরী। ব্রাত্য কবে রায় চৌধুরী হলেন সেটাই এখনও মনে করতে পারছেন না বাংলার শিক্ষাজগতের কেউ। মনে করতে পারছেন না বাংলার নাট্য জগতেরও কেউ যা ব্রাত্য কবে বসু রায় চৌধুরী ছিলেন। মনে করা হচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি চলছে, সে সম্পর্কে আলোচনা করতে ডাকা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবকেকে।
সোমবার তড়িঘড়ি করে ব্রাত্য ও মণীষকে কেন রাজভবনে ডাকা হয়েছে সেটা নিয়ে অবশ্য নিজের টুইটে কিছু লেখেননি রাজ্যপাল। তিনি শুধু লিখেছেন, ‘আজ দুপুরেই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যব্রত বসু রায় চৌধুরীকে এবং শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে তলব করা হয়েছে রাজভবনে।’ রাজ্যপালের এই টুইট নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। গত এক মাস ধরে এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক বড় নাম প্রকাশ্যে আসছে। এর মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে তলব করে সিবিআই। তাঁকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। অন্য একটি মামলায় বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার স্কুলে নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার রায়ও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এসব কথা মাথায় রেখেই এখন অন্য একটি মহল মনে করছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পদ থেকে সরানোর বিষয়ে আদালত যে সুপারিশ করেছিল রাজ্যপালের কাছে, সে বিষয়েই শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের সঙ্গে কথা বলতে পারেন রাজ্যপাল। তবে কারণ যাই হোক না কেন রাজ্যপাল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর নামটুকুও ঠিকঠাক ভাবে জানেন না, এটা দেখে এখন হাসছে গোটা বাংলা।