নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরেই সুকান্তকে ঘিরে ‘বিদ্রোহ’ চলছেই। কখনও বিজেপি নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ আবার কখনও প্রকাশ্যে নাম না করে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ দলেরই একাংশের। রাজ্য বিজেপির নতুন সেনাপতির কাজ শুরুর থেকেই একাধিক ধাক্কা খাচ্ছেন। এমনিতেই ভোটের ময়দানে ‘ডাহা’ ফেল বর্তমান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এরপরেই দলের সংগঠন সাজাতে গিয়ে ঘরের মধ্যেই বিদ্রোহের আগুনে দগ্ধ বালুরঘাটের সাংসদ। রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বর্তমান দলের বিরুদ্ধে কৌশলী রাজনীতি আরও চাপে ফেলেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। যা নিয়ে কটাক্ষের সুরে সম্পাদকীয় লেখা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রে।
‘জাগোবাংলা’য় লেখা হয়েছে, ‘মন্ত্রী যখন প্রেসার পলিটিক্স করে দলের মুখ পোড়াচ্ছেন, তখন রাজ্য সভাপতি বলছেন, পিকনিককে ঘিরে দলের সর্ম্পক যাত্রা হচ্ছে, এমন খবর তাঁদের কাছে নেই। আশ্চর্যের কথা, রীতিমতো সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রেখে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন, আর সভাপতি বলছেন আমি জানি না। ঘটনা যদি এখানেই শেষ হত, তা হলেও বলা যেত সামলে নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শো কজ হাতে পাওয়ার পরই দলের ৩২ বছরের পুরানো কর্মী যে ভাবে কামান দেগেছেন তাতে বিজেপি’র কপালে কিন্তু দুঃখ রয়েছে।’ কিছুদিন আগেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দলের সংগঠনে রদবদল করেছেন। যেখানে মতুয়াদের গুরুত্ব হ্রাস করায় ক্ষুদ্ধ বনগাঁ’র সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এই বিষয়ে কিছুদিন আগেই কলকাতায় এক্সাইডে জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি সহ একাধিক বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করে বিক্ষোভ প্রকাশ্যে আনেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তারপরেই বনগাঁ ও গোবরডাঙ্গায় দু’দিন ধরেই বিক্ষুদ্ধদের নিয়ে ‘পিকনিক’ রাজনীতি করে বিজেপি সাংসদ। সেই বিষয়ে চাপে বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেই বিষয়কে কটাক্ষ করেই ‘জাগোবাংলা’তে লেখা হয়েছে সম্পাদকীয়তে।