এই মুহূর্তে




স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না চালানো নিয়ে আড়াআড়ি বিভক্ত জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকার নমনীয় হওয়া সত্বেও ‘রাজনৈতিক’ আড়কাঠিদের নির্দেশে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে  জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের আন্দোলনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এবার কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাত, দেবাশিস হালদার এবং রুমেলিকা কুমারদের মতো সিপিএম, নকশাল এবং অতি বাম মনোভাবাপন্নদের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের একাংশ। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ডেরা বেঁধে আন্দোলনের নামে সাধারণ রোগীদের ভোগান্তিতে ফেলার বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। স্বাস্থ্য ভবনের পাশাপাশি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ চত্বরেই ধর্না মঞ্চ গড়ে আন্দোলন চালানোর পাশাপাশি কাজে যোগ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের বড় অংশ। ফলে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার ফের জিবি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকেই আন্দোলনের পরবর্তী কর্মপন্থা চূড়ান্ত হওয়ার কথা।

গত ৮ অগস্ট খুন হয়েছিলেন আরজি করের এক  তরুণী চিকি‍ৎসক। পরের দিন ৯ অগস্ট থেকে কাজকর্ম শিঁকেয় তুলে কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের কয়েক হাজার জুনিয়র চিকি‍ৎসক। সূত্রের খবর, আন্দোলনকে তৃণমূল শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহারে আসরে নামেন সিপিএমের ক্যাডার হিসাবে পরিচিত বেশ কয়েকজন চিকি‍ৎসক তথা স্বাস্থ্য বেওসায়ী। তার মধ্যে দু’জন দুটি বেসরকারি হাসপাতালের অংশীদারও। সরকারের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে সুকৌশলেই আন্দোলনের নেতৃত্বে তুলে আনা হয় সিপিএম, নকশাল ও এসইউইসি’র সঙ্গে জড়িত তথাকথিত জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, আড়কাঠিদের নির্দেশ মেনে গত ৪০ দিন ধরে লাগাতার রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারী চিকি‍ৎসকদের বেশ কয়েকজন মুখপাত্র।

গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকের পরে আন্দোলন তুলে নেওয়া হবে বলে আশাবাদী ছিলেন জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের সিংহভাগ। কিন্তু আন্দোলন প্রত্যাহার হয়নি। এর পরে গতকাল বুধবারও নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং টাস্কফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে আন্দোলনকারী চিকি‍ৎসকদের পাঁচ ঘন্টা ধরে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পরে জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের অন্যতম নেতা তথা কট্টর তৃণমূল বিরোধী হিসাবে পরিচিত অনিকেত মাহাত জানিয়ে দেন, ‘মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে সহমত হওয়া যায়নি। ফলে কর্মবিরতি চলবে।’

আর মাঝ রাতে টিভির পর্দায় ওই কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে অসন্তুষ্ট হন জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের সিংহভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা জানিয়ে দেন, ‘আন্দোলন চলুক, তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবনের পরিবর্তে ওই আন্দোলন হোক কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে। রিলে ভিত্তিক অবস্থান হোক। কাজে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদও চলতে থাকুক।’ ওই কথা শুনেই সিঁদূরে মেঘ দেখেন রোগী পরিষেবা ব্যাহত করে রাজ্য সরকারের চাপে রাখার পক্ষে থাকা জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা। সূত্রের খবর, জিবি বৈঠকে কার্যত আড়াআড়িভাগে বিভক্ত হয়ে যান আন্দোলনকারীরা। কর্মবিরতি যাতে না তোলা হয় তার জন্য ফের সক্রিয় হন বাম জমানায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে লাটে তুলে দেওয়া সিপিএমপন্থী চিকি‍ৎসকরা। বিকেলে ফের বৈঠকে বসে জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের জিবি। প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত জিবি বৈঠক চলছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিনদুপুরেই ডাকাতি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির, মাত্র ৬.৫ কিমি দূরের গন্তব্যের ভাড়া ৪৩৬ টাকা!

মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ জানানো যাবে না, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি IMA’র রাজ্য শাখার, ক্ষুব্ধ জনতা

অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার জন্য ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন

ত্রিধারার মণ্ডপে ‘বিচার চাই’ শ্লোগান দেওয়া ৯ জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠাল আলিপুর আদালত

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর