এই মুহূর্তে




লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে পিছনে ফেলে দিতে চলেছে কন্যাশ্রী, আবেদন জমা ও মঞ্জুর ৩ কোটিরও বেশি

Courtesy - Facebook, Google and Kanyasree Portal




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম জমানায় বাংলার(Bengal) বুকে মেয়েদের মধ্যে School Dropout’র সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল হু হু করে। সেই ছবি বদলানোর কোনও চেষ্টাই দেখা যায়নি ৩৪ বছরের শাসকদের মধ্যে। কিন্তু ২০১১ সালের পরিবর্তনের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার সেই ছবিতে বদল আনতে একের পর এক পদক্ষেপ করে গিয়েছে। সবুজসাথী প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি চালু হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পও(Kanyasree Project)। সেই প্রকল্প শুধু যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তাই নয়, তা বিশ্বের দরবারে সম্মাণিত হয়েছে এবং পুরষ্কৃতও হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মেয়েদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পও(Lakhir Bhandar Project) চালু করেছেন। বর্তমানে রাজ্যে এই দুই প্রকল্পই সামাজিক ভাবে ভীষণই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এখন দেখা যাচ্ছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকেও ছাপিয়ে যেতে চলেছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জনপ্রিয়তা। কেননা এই প্রকল্পের জন্য সারা রাজ্যজুড়ে ৩ কোটিরও বেশি আবেদন ইতিমধ্যেই মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে যেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপক সংখ্যা ২ কোটির সামান্য বেশি হিসাবেই দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন, সব জায়গায় নয় ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান, কড়া বার্তা ভাগবতের

সরকারি তথ্য বলছে, রাজ্যের ১৮ হাজার ১৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ৩ কোটি ৬ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৫৫জন পড়ুয়া এবারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন জানিয়েছিল যা কার্যত এক নয়া মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেছে। এই ৩ কোটি আবেদনের মধ্যে চলতি তারিখের তথ্য বলছে ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯০টি আবেদন এই প্রকল্পের জন্য মঞ্জুর হয়েছে। এই ৩ কোটির মধ্যেই রয়েছে নতুন করে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা পড়ুয়ারা আবার রয়েছে পুরাতন পড়ুয়ারাও। মানে কন্যাশ্রী প্রকল্পের K-1, K-2 ও K-3 ৩টি স্তরের পড়ুয়ারাই রয়েছে এই ৩ কোটির হিসাবের মধ্যে। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজ্যের বর্তমান উপভোক্তার সংখ্যা ২ কোটি ১০ লক্ষের মতো। অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের থেকেও প্রায় ১ কোটি বেশি উপভোক্তা হয়ে গিয়েছে। এই ছবিই কিন্তু বলে দিচ্ছে, বাংলার জনতার আজও বড় ভরসার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের চালু করা এই সমস্ত আর্থসামাজিক প্রকল্প।

আরও পড়ুন, আর জি কর কাণ্ডে মিনাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করবে CBI, স্টেশন থেকেই সোজা CGO’র পথে বামনেত্রী

বর্তমানে বার্ষিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার আয়ের মধ্যে থাকা পরিবারের মেয়েরাই(School Girls) কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারে। অষ্টম শ্রেনী থেকেই সেই আবেদন করা যায়। সেই আবেদন পড়ে K-1 হিসাবে। এটি কন্যাশ্রী প্রকল্পের একদম প্রথম ধাপ। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর মেয়েরা এই ক্ষেত্রে আবেদন জমা দিতে পারে। খালি তাঁদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে থাকতে হবে এবং অবিবাহিত হতে হবে। এই আবেদন গৃহীত হলে প্রতি বছর ১০০০ টাকা করে পাওয়া যায়। এরপরেই চলে আসে কন্যাশ্রীর দ্বিতীয় ধাপ K-2। ১৮ বছর বয়স হলে এবং তারপরও অবিবাহিত থাকলে এবং স্কুলে বা কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এই আবেদন করা যায়। সেক্ষেত্রে এককালীন ২৫ হাজার টাকা পায় ওই পড়ুয়া। আবার যারা K-2’র সুবিধা পেয়ে গিয়েছে এবং স্নাতকে নূন্যতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করছে সেই সব মেয়েরা K-3’র জন্য আবেদন জানাতে পারে। এক্ষেত্রে আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের কোনও মাপকাঠি দেওয়া হয়নি। আবেদন গৃহীত হলে আবেদনকারী পড়ুয়া প্রতি মাসে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা পাবে সরকারের কাছ থেকে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি’, রতন টাটার প্রয়াণে শোকবার্তা মমতার

বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পেল কোন কোন পুজো? দেখে নিন তালিকা…

গণ ইস্তফার সস্তা নাটক সিনিয়র চিকি‍ৎসকদের, নিয়ম মেনে কেন ইস্তফা দিচ্ছেন না উঠেছে প্রশ্ন

ফুচকাওয়ালা নিগ্রহকাণ্ডে মুখ খুলল সিংহী পার্ক পুজো কমিটি

ট্যাক্সিতে মিটার বসানো নিয়ে নয়া সুবিধা দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার

যাত্রী সংখ্যায় নয়া রেকর্ড গড়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর