এই মুহূর্তে




রাজডাঙ্গায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে আর্থিক অনটন মূল কারণ অনুমান পুলিশের




নিজস্ব প্রতিনিধি: কসবায় একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ট্যাংরা কাণ্ডে ছায়া দেখছেন কসবা থানার অফিসাররা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ট্যাংরার (Tangra)অতুল সুর রোডের বাড়ি থেকে দে পরিবারের দুই বধু এবং এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। অভিযোগ তিনজনকে খুন করার পর  বাড়িতে রেখে কিশোর প্রতীপ দে ও তার বাবা প্রণয় দে’ কে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন কাকা প্রসুন দে।ভোররাতে ইএম বাইপাস সংলগ্ন অভিষিক্তার কাছে তাদের গাড়ি দুর্ঘটনা কবলে পড়ে তিনজনই গুরুতর জখম হন। দীর্ঘদিন এনআর এস হাসপাতালে দীর্ঘদিন থাকার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন প্রসুন, প্রণয় ও প্রতীপ। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয়। হোমে রয়েছেন প্রতীপ। গত মার্চ মাসে কসবাতেই আড়াই বছরের শিশু পুত্রকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন সোমনাথ রায় এবং তার স্ত্রী সুমিত্রা রায়। সুমিত্রার পরিবারেরও দাবি ছিল সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেলে দুজনে আত্মঘাতী হয়েছেন।

এবার কসবার রাজডাঙ্গা(Rajdanga) এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর আর্থিক অনটনের বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। মৃতদেহ গুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দরজা ভেঙে বাবা-মা এবং একমাত্র ছেলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে কসবা থানার পুলিশ। বাড়ির গৃহকর্তার ঝুলন্ত দেহ একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়। তার স্ত্রী এবং একমাত্র পুত্রের মৃতদেহ পাশের ঘর থেকে উদ্ধার হয়। স্ত্রী এবং একমাত্র পুত্রের দেহে আঘাতের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের অনুমান গৃহকর্তা নিজের স্ত্রী ও পুত্রকে খুন করে ফাঁস দিয়ে তারপর নিজে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তে রিপোর্টের পরেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বাড়ির গৃহকর্তী ও একমাত্র সন্তানের দেহের ক্ষতচিহ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে।কসবা থানা সূত্রে জানা গেছে মৃতরা হলেন সরজিৎ ভট্টাচার্য (,৭০) গার্গী ভট্টাচার্য (৬৮) এবং তাদের একমাত্র পুত্র আয়ুষ্মান ভট্টাচার্য (৩৮)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কসবা থানায় (Kasba P.S.)এলাকার ৫০ নম্বর রাজডাঙ্গা গোল্ড পার্ক এলাকায় এই পরিবার থাকেন। সকাল থেকে বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল এবং ঘরের জানলা দরজা বন্ধ ছিল। এলাকার লোকজনের বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় তারা পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে দেখে বাড়ির গেটে ভেতর থেকে তালা দেওয়া রয়েছে এবং ঘরের ভেতরে দরজা সেটিও বন্ধ রয়েছে। পুলিশ সকলের উপস্থিতিতে প্রথমে কপসুল গেটে তালা ভাঙেন তারপর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন স্বামী – স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তানের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।

কেন এই পরিবার এই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল বা এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই ঘরের মধ্যে থেকে তল্লাশি চালিয়ে তথ্য খুঁজে পুলিশ। নিকট আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্ত হয়ে রিপোর্ট আসার পর পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কি তা জানতে পারবে বলে কসবা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। পাড়া-প্রতিবেশীদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে জোর কদমে তদন্ত চলছে। কেন এই পরিবার একইসঙ্গে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। শেষ কবে এই পরিবারকে স্থানীয় মানুষজন দেখেছে তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পুজোর পরই ফের বসছে শিল্প সম্মেলন, জানালেন অমিত মিত্র

পথ নিরাপত্তা সপ্তাহে ইউনাইটেড মিশনারি গালর্স হাইস্কুলের পড়ুয়াদের অভিনয়ে মুগ্ধ মমতা

বুধবার নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডে সরলেও সমুদ্র থাকবে উত্তাল, ৪ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

বিদ্রোহে ইতি? আচমকাই সল্টলেকের বিজেপি অফিসে হাজির ‘অভিমানী’ দিলীপ

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অযোগ্যদের বাদ দেওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য ও এসএসসি

আরজি কর কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে ফের রাত জাগোর ডাক ‘বামঘেঁষা’ জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ