নিজস্ব প্রতিনিধি: সিপিএমের পার্টি অফিসে মারপিট থেকে কামড়াকামড়ি এবং খামচা খামচিতে রক্তাক্ত হল। কসবার ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের এরিয়া কমিটির অফিসে বৈঠক চলছিল। সেখানে সদস্যদের মধ্যে কথা কাটাকাটিতে নিমিষে তা মারামারিতে(Clash)। নিজেদের মধ্যে এমন সংঘর্ষ হয় যে কাউকে হাতে সেলাই করতে হয় কারোর কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হয়। ওই বৈঠক মারামারি দরুণ বন্ধ করে দিতে হয়। বিরোধী দল বা রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে সংঘর্ষ নয়। পার্টি অফিসের ভেতর কমরেডরা নিজেদের মধ্যেই মারামারিতে রক্তাক্ত হয়ে উঠল।এর আগে কসবার সিপিএমের এরিয়া কমিটির(CPM Area Comittee) বৈঠকে অশান্তির ঘটনায় এক সিপিএম নেতা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।

একটানা কুড়ি দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন। শনিবার রাতে সেই সিপিএম নেতার হাতও কামড়ে(Bite) দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের উচ্চ নেতৃত্ব এই কামড়া কামড়ি ও মারামারির ঘটনা শুনে রীতিমত লজ্জিত। হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া জেলা সম্মেলনে এর আগে এমন গোলমাল হয়েছিল যে মন্ত্রী প্রবীণ নেতা, নির্মল মুখোপাধ্যায় হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সম্মেলন শেষ হওয়ার কয় দিন বাদে তার মৃত্যু হয়েছিল হাসপাতালে।

সরকারে থাকার সময় সিপিএমের মধ্যে তুমুল দলাদলি ছিল। বর্তমানে সিপিএম পার্টি বহু জায়গায় বিলুপ্তির পথে। ডোডো পাখির রূপ নিয়েছে। সরকারে থাকার সময় যে ঘটনা ঘটতো এখনো সেই ঘটনা ঘটছে এই ঘটনা দেখে রীতিমতো চিন্তিত সিপিএমের উচ্চ নেতৃত্ব। জানা গেছে কসবার শনিবার রাতে রই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ও সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য দীপু দাস। সে সহ ওই বৈঠকে যে সিপিএমের নেতারে উপস্থিত ছিল তাদের সকলকে সিপিএমের উজ্জ্বল নেতৃত্ব। খুব শীঘ্রই ডেকে এই বিষয়ে কারণ জানতে চাইবে বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, যখন কসবার সিপিএম পার্টি অফিসে মারামারির ঘটনা ঘটছিল তখন সেখান থেকে যোগাযোগ করা হয় কলকাতার জেলার সম্পাদক কল্লোল মজুমদারের(Kalool Mazumdar) সঙ্গে। কল্লোল মজুমদার এই ঘটনায় বিস্তারিতভাবে লিখিত জেলা কমিটিকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সিপিএমের যুব সংগঠনের নেতা নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেটা এখনো মেটেনি। তার মধ্যে কসবার অফিসে কামড়াকামড়ি ও মারামারির ঘটনায় এবার সিপিএমের উচ্চ নেতৃত্ব রীতিমতো ক্ষুব্ধ।