নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরসভা অধিবেশন শনিবার শুরু হতেই বিজেপি – তৃণমূল কাউন্সিলরদের মারামারি শুরু হয়। কলকাতা পুরসভার চেয়ারপারসন মালা রায়ের(Mala Roy) মন্তব্যের পরেই ধুন্দুমার কান্ড শুরু হয়। কলকাতা পুরসভাতে বিরোধীদের কোন প্রশ্ন নেই। এই মন্তব্যের পরে শুরু হয় উত্তেজনা। ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয় স্বয়ং মেয়রকে(Mayor)। কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনের শুরুতেই শনিবার ধুন্দুমার কান্ড বেধে যায়।অধিবেশন কক্ষেই তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বিশ্বরূপ কলকাতা পৌরসভার এডেড এলাকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য প্রতি অর্থ বর্ষে আর্থিক বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে এবং পুরনো কলকাতার কাশিপুর থেকে বউবাজার বা মানিকতলা থেকে তালতলা শহর নানা অঞ্চলের ওয়ার্ড গুলির সোয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান তৈরির বিষয়টি উত্থাপন করেন।
এর উত্তর দিতে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) উত্তর দিতে উঠলে তার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলের বেঞ্চ থেকে ধন্দুমার কান্ড বেধে যায়।মেয়র মন্তব্য করেন,এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে শহর কলকাতার বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন এবং প্রস্তাব উত্থাপন করেন শাসকদলের কাউন্সিলরগণ। বিরোধীদল সংখ্যায় কম হলেও তারা সমস্ত বিষয়ে নিশ্চুপ এবং উদাসীন থাকেন। ও তাই নয় নিজে নিজে এলাকার বিষয়েও তারা সেভাবে সরব হন না।এর পরিপ্রেক্ষিতেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের টিপ্পনি ও কটু মন্তব্য শুরু হয় বিরোধীদলের কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে। এর পরেই বিরোধী বিজেপি দলের কাউন্সিলর সজল ঘোষ(Sajal Ghosh), মিনা দেবী পুরোহিত, বিজয় ওঝা, কংগ্রেস দলের কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক এর তীব্র প্রতিবাদ করেন ।
পরে হাতাহাতি উপক্রম হয়। কলকাতা পুরসভার(KMC) ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বোসের সঙ্গে ও আরেক তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর মহেশ শর্মার সঙ্গে হাতাহাতির উপক্রম হয়। পরিস্থিতি দুর্ভাগ্যজনক হওয়ায় সভা কক্ষ ত্যাগ করেন চেয়ারপারসন মালা রায়। এরপর পুরসভার অধিবেশন কক্ষের মাঝে নেমে দুপক্ষকে সামাল দিতে হয় মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও দেবাশীষ কুমারকে। অধিবেশনের আলোচনা থমকে যায়।