এই মুহূর্তে

ডেঙ্গু : নজরদারির জন্য বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবি অতীন ঘোষের

নিজস্ব প্রতিনিধি:আমাদের শহরে এখন সবচে আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ডেঙ্গু সংক্রমণ।কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক নয় । তবে ডেঙ্গুর কারণ হচ্ছে উষ্ণায়ন এবং মানুষের অসচেতনতা। যারা ডেঙ্গু চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তারা সরকারকে অবগত করেন।আমরা কভিডে দেখেছিলাম নোটিফাই রোগ।কলকাতা ছাড়া কোথাও কেউ খোঁজ খবর নেন না। শনিবার কলকাতা পুরসভায়(KMC) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডেঙ্গু ইস্যুতে এ ভাবেই মুখ খুললেন ডেপুটি মেয়র(Deuty Mayor) অতীন ঘোষ। তার দাবি,ভারতবর্ষে কোনো শহর নেই যেখানে এই ভাবে কাজ হয়।আমাদের তথ্য গোপন করার কথা বলা হচ্ছে।আমি রাজ্যের কথা বলতে পারবো না।কিন্তু কলকাতায় ডেঙ্গু নিয়ে আমরা ডাটা কালেকশন করি।অনেক পরীক্ষাকেন্দ্র নোটিফাই করে না এটা আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি।আমি ধরে নিলাম যে আমরা তথ্য গোপন করছি।সেটা হলে ও ২% বেশি আক্রান্তের সংখ্যা নেই।

৬০ লক্ষ মানুষ কলকাতায় আসে।ডেঙ্গু এখন হিউম্যান ক্যারিয়ার(Human Carrier)।বাইরে থেকে যারা আসছেন। তাদের পরীক্ষা কতটা হচ্ছে। সেটা আমি জানি না।আমরা ভারতবর্ষে প্রথম ড্রোন ব্যবহার করে তথ্য নিয়ে এসেছি।অভিজাত আবসনে ঢাকনা খোলা রয়েছে।উত্তর কলকাতাতে ১৩৫৮জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। শহরে ৩৮৩টি খালি জমি রয়েছে।দক্ষিণ কলকাতা অনেক বেশি।পুকুর ও নর্দমা সংখ্যা উত্তর থেকে বেশি দক্ষিণ কলকাতায় রয়েছে।যদি পরিবেশগত দেখি প্রায় সবটা ৮০% আছে।সেই কারণে দক্ষিণে ডেঙ্গুর সংখ্যা বেশি। অতীন ঘোষ আরো বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থার গাইডলাইন মেনে কাজ করি।রেপিড অ্যাকশন টিমের মাধ্যমে কাজ করা হয়।সেই কারণে স্কুল এবং কলেজ এই সংখ্যা প্রায় নেই।অনেক বাড়ির ওপরে ট্যাংকগুলির(Water Tanks) কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই।আমরা সারা বছর ধরে কাজ করছি। সিঙ্গাপুরের মত শহরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু হয়েছে।এখানকার জনসংখ্যা হিসাবে ১.৪% ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে।ডেঙ্গুতে(Dengu) এবার একটা নতুন চরিত্র দেখা গেছে।যেটা সিঙ্গাপুরে একই ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে।ওদের শহরে (City)তাপমাত্রা আমাদের মত রয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত প্রটোকল ঠিক করতে পারেনি।শক সিস্টেম অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে।দেখা যাচ্ছে প্লেট কমছে না কিন্তু শকে মানুষ মারা যাচ্ছে।আমাদের শহরে মৃত্যু হয়েছে। সেটা অস্বীকার করার নয়। অনেক মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নিচ্ছেন। যার ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।আমরা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং সরকার কে বলব যে খালি জমি বিরুদ্ধে কড়া আইন আনতে হবে।খালি জমি ,খালি পুকুর থাকলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে।আমরা যে টাকা খরচ করে জমি পরিষ্কার করেছি। কিন্তু জমি পরিষ্কার করার পরে আবার সেখানে আবর্জনা ফেলে দেওয়া হচ্ছে।সমস্ত কর্পোরেট সংস্থাকে আবেদন জানাব যে আপনারা ডেঙ্গু নিয়ে প্রচার করার জন্য সাহায্য করুন।সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করার জন্য আহ্বান করব।পুর সংস্থার কাছে এত টাকা নেই যে রোজ বিজ্ঞাপন করতে পারবে।

সমস্ত বেসরকারি সংস্থা তাদের কোম্পানির নামে সচেতন করার জন্য বিজ্ঞাপন দিন আবেদন জানালেন মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ।আমরা গত ১২ বছর ধরে প্রচার চালাচ্ছি।ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়েই জন্মায়।মানুষ এত ব্যাস্ত যে তাদের শোনার ধৈর্য কম।ডেঙ্গু ,মালারিয়া নিয়ে আমাদের দেশে মাতামাতি হয়নি। যেভাবে করোনা নিয়ে করা হয়েছে।ডেঙ্গু নিয়ে তথ্য গোপন করার কোনো জায়গায় নেই।কারণ এখন সব তথ্য গুগল পাওয়া যায়।এটা ঘটনা হচ্ছে যে কাউন্সিলর দের নামার কথা ছিল। সবাই কে আমরা বুঝিয়ে বলেছিলাম।সেখানে কোথায় একটা দুর্বলতা ছিল স্বীকার করলেন অতীন ঘোষ(Atin ghosh)।পুজোর সময় ও আমরা ডেঙ্গু মালারিয়া প্রচার করেছি।এবছর ৮৪৫৪ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।আগামী বছর প্রচুর পরিমাণে কেস করা হবে।১০১ নম্বর ওয়ার্ডে বোরো ১২ তে ডেঙ্গু বেশি হয়েছে।১০১ থেকে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ড, ১২১,১২৯, ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডে ফাঁকা মাঠে ডেঙ্গু পাওয়া গেছে।৯১ , ৯২,৯৪, ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে এই ধরনের ফাঁকা মাঠ রয়েছে।ওভারহেড ট্যাংক খোলার ছবি দেখানো হয়। ছাদ পরিষ্কার কিন্তু ট্যাংকের ঢাকনা খোলা আছে। ১০০০ উপরে ঢাকনা খোলা আছে।এমন কি সরকারি ভবনেও দেখা যাচ্ছে খোলা ট্যাংক।গুরুদাস কলেজ ঢাকনা খোলা রয়েছে ছবিতে দেখা যাচ্ছে। স্লাইডারের মাধ্যমে ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ির ছাদে দেখা গেছে খোলা ঢাকনা।একই ভাবে চেতলা লক গেটের ছবি ধরা পড়েছে।রাস্তার ধারে অভিজাত বিল্ডিং থেকে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।পুকুরের পাশে ময়লা ফেলছেন মানুষ।ড্রোনের(Dron) ছবিতে দেখা যাচ্ছে। কি ভাবে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।অতীন ঘোষ দাবি করেন,আমরা এই ট্যাংক গুলার বন্ধ করার ব্যাবস্থা নেব। এই সমস্ত ফাঁকা মাঠ(Open Fireld) কে পরিষ্কার করা হবে। মানুষকে ফাঁকা মাঠ অধিকরণ করে নেওয়ার ভয় দেখিয়ে যাতে পরিষ্কার করা যায়।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

স্বপনে জেরবার বিজেপি, বারাসত হয়ে যাচ্ছে আসানসোল

রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ীই কেরোসিন বরাদ্দ করবে কেন্দ্র, নির্দেশ হাইকোর্টের

‘বাংলাবিদ্বেষী বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে উপহাস করছে’, তৃণমূলের আক্রমণে অস্বস্তিতে বিজেপি

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

পাহাড়পুরে বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত ,আদালতে গেলেন বাড়ির মালিক

কপালে স্টিকিং প্লাস্টার নিয়ে ইফতারে হাজির মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর