নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজোর পালা আগেই মিটে গিয়েছে। কালিপুজোও শেষ। শহর কলকাতায়(Kolkata) এখন উৎসব বলতে বাকি শুধু ছট ও জগদ্ধাত্রী পুজো। আর এই দুই পুজোর পালাও আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে মিটে যাবে। তারপরেই শহরের রাস্তাঘাট সারানোর কাজে হাত দিতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। মূলত রাস্তায় গর্ত ভরাটের কাজ হবে এবং যেখানে যেখানে রাস্তা উঁচুনীচু রয়েছে সেখানে রাস্তা সমান করা হবে। কলকাতা পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে এবারে শহরের মোট ১১৫কিমি রাস্তা সারাই করা হবে। নভেম্বর মাসের ১৬ তারিখ থেকেই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে যা চলবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি।
কলকাতা পুরনিগম(KMC) সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে রাস্তার ওপর গর্ত তৈরি হয়েছে মূলত পুজোর মণ্ডপ, আলোর গেট, বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানোর জন্য। পাশাপাশি শহরের বহু রাস্তাতেই পিচ অসমান হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও ঢেউ খেলানো পরিস্থিতি। পুজোর আগে এইরকম ৪০ কিমি রাস্তা মসৃণ করা হয়েছিল কলকাতা পুরনিগমের তরফেই। সেই সময় শোভাবাজার স্ট্রিট, শিবনাথ শাস্ত্রী সরণি, গড়িয়াহাট রোড(Gariahat Road), ই এম বাইপাস-পার্ক সার্কাস কানেক্টর, পূর্ব ও পশ্চিম চৌবাগা রোড, বিধানপল্লি রোড, গড়িয়া-তালতলা রোড, নেতাজি সুভাষ বোস রোড, বি পি টাউনশিপ, কালীঘাট রোড সহ কয়েকটি রাস্তার অসমান অংশ সমান করা হয়েছিল। এবার নতুন করে আরও ১১৫ কিমি রাস্তা মসৃণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপিয়র সরণি, উল্টোডাঙা মেন রোড, মানিকতলা মেন রোড(Maniktala Main Road) সহ আরও কয়েকটি রাস্তা। এই রাস্তাগুলির মূল সমস্যা হল, মাটির তলা দিয়ে জল, বিদ্যুৎ, নিকাশি সহ একাধিক পরিষেবার লাইন গিয়েছে। সেসব লাইনে কোনও সমস্যা হলে বা নতুন কোনও কাজ করতে গেলে রাস্তা খুঁড়ে তা করতে হয়। কাজ শেষের পর পিচ ঢেলে কোনওমতে জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয় ওই অংশে। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে চলতে রাস্তা অসমান হয়ে যায়।
কলকাতা পুরনিগমের আধিকারিকদের দাবি, মিলিং মেশিন দিয়ে প্রথমে রাস্তার উঁচু অংশের পিচ ছেঁটে ফেলে ওই অংশের উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি কমিয়ে দেওয়া হবে। তারপর চলবে ঝামা ঘষার পালা। কিছুদিন এভাবে ফেলে রেখে দেখা হবে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যানবাহনের চাপে রাস্তা কতটা বসছে। তারপর সেখানে বিটুমিনের প্রলেপ দিয়ে আবার আশপাশের অংশের সঙ্গে সমান করে দেওয়া হবে। পুজোর সময় মণ্ডপ বা বিজ্ঞাপনী হোর্ডিংয়ের জন্য বিভিন্ন রাস্তায় যে সব গর্ত খোঁড়া হয়েছে, সেগুলিও মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত তা শেষ ও হয়ে যাবে। তবে এরই মধ্যে কিছু গর্ত বড় হয়ে গিয়েছে। সেগুলি আগে বোজানোর কাজ হচ্ছে নাহলে, বাইক বা সাইকেল দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। তাই পুজো শেষ হতেই দ্রুত এই কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। গর্ত মেরামতের জন্য বিশেষ মোবাইল ভ্যান শহরজুড়ে ঘুরে ঘুরে এই কাজ করছে।