নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এই অবস্থায় আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও বিধাননগরে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। এই মর্মেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। যার শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একগুচ্ছ প্রশ্ন করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য কলকাতা হাইকোর্টে বলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলা হয়ত নির্ধারিত সময়ে হবে পিছিয়ে দেওয়া যাবে না। কিন্তু ভোট এই মহামারির সময়ে পিছিয়ে দেওয়া যেতেই পারে।’ যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, করোনা বিধি মেনেই নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। কোনও মিটিং বা মিছিল হচ্ছে না, জমায়েত হচ্ছে না, ভার্চুয়ালি জনসভা করানো হচ্ছে।
সবকিছু শুনেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়, তার হিসেব কি আছে কমিশনের? চার পুরসভার ভোট যেখানে, সেখানে করোনার কী পরিস্থিতি?’ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানতে চান, ‘কমিশনের ক্ষমতা আছে নির্বাচন স্থগিত করার। কমিশন কি স্বাধীনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে?’
এর উত্তরে কমিশনের আইনজীবী আদালতকে জানান, তিনি এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়ে তবেই আদালতকে জানাতে পারবেন। এরপরই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কমিশন ও রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, চার পুরসভার কন্টেন্টমেন্ট জোনের কত, সেখানকার বর্তমান কী পরিস্থিতি, কতজন আক্রান্ত ইত্যাদি পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আদালতকে জানাতে হবে দ্রুত। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।