নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে সিবিআই অনুসন্ধানের পক্ষে রায় দেয়। যাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশকে বাতিলের আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। মামলাকারীরা কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে আর্জি জানায়, এসএলএসটির নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি ছিল, সেখানে আজাদ আলি মির্জা ও আরও একজনের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তাঁদের নাম কোনওরকমভাবেই তালিকায় ছিল না। এমনকি মেয়াদ শেষের পরে তাঁদের চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
সেই মামলায় প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। যা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করার পাশাপাশি দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আবেদন মঞ্জুর করেছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামিকাল শুনানির কথা।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে এসএলএসটি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনেকদিন আগেই মামলাটি ওঠে। তখনই এই বিষয়ে এসএসসিকে বিস্তারিত রিপোর্ট ও নিয়োগের সূচি জমা দিতে বলে। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি ছিল, সেখানে আজাদ আলি মির্জা ও আরও একজনের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তাঁদের নাম কোনওরকমভাবেই তালিকায় ছিল না, তাও তাঁরা চাকরি করছিলেন বলে মামলাকারীরা জানান আদালতে। ৪ জানুয়ারি এসএসসির চেয়ারম্যান এই বিষয়ে যে রিপোর্ট জমা দেন তাতে অভিযুক্ত ২ জন ব্যক্তির নাম ছিল না। তারপরেই বিরক্ত হয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানদের তলব করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তারপরেই চেয়ারম্যানের বয়ান শুনে এই ঘটনায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় আদালত। যাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য।