নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি নিয়ে চলছিল জোরদার জল্পনা। বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চা চলছিল এই নীতি মেনে এবার অনেক মন্ত্রী-বিধায়ক পুরভোটের টিকিট পাবেন না। বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ফের মেয়র না-ও হতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। এমনকি নতুন মেয়র পেতে চলেছে কলকাতা এমন খবরও প্রকাশিত হতে শুরু করেছিল বিভিন্ন সংবাদপত্রে। তবে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলনেত্রী টিকিট দিলেন ৬ বিধায়ককে। যারমধ্যে অন্যতম নাম ফিরহাদ হাকিম। তিনি বিদায়ী মেয়র বা মুখ্য পুরপ্রশাসক। ফলে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই পরবর্তী মেয়র হিসেবে তাঁকেই ভাবা হচ্ছে বলেও প্রশ্ন উঠে যায়। যদিও এই প্রসঙ্গে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়ে দিয়েছেন, মেয়র পদপ্রার্থী কাউকে রাখা হয়নি। দল জিতলে নবনির্বাচিত কাউন্সিলররাই মেয়র ঠিক করবেন।
‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি নিয়ে জল্পনা চললেও তৃণমূল সুপ্রিমো যে কলকাতা পুরসভা পরিচালনায় অভিজ্ঞতাকেই গুরুত্ব দিলেন সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের পর ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভা দক্ষ হাতেই পরিচালনা করেছেন। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও দায়িত্ব নিয়ে ভালো কাজ করেছেন। বিশেষ করে ডেঙ্গি মোকাবিলা-সহ করোনা পরিস্থিতির সময় তিনি দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। আবার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মুজমদারও ফের টিকিট পেলেন। একইভাবে দীর্ঘদিনের সঙ্গী সাংসদ মালা রায়ের উপর ভরসা রাখলেন তৃণমূলনেত্রী।
প্রার্থীতালিকায় নামই নেই সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়র। তাঁকেই সম্ভাব্য মেয়র হিসেবে তুলে ধরেছিল সংবাদমাধ্য়মের একাংশ। কিন্তু প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হতেই পরিস্কার, কলকাতার সম্ভাব্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমই। যদিও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তিনিই ফের মেয়র হচ্ছেন কিনা সেটা নিয়ে এখনই ভাবছেন না। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, ফিরহাদ হাকিম বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেও তাঁর ভালো সম্পর্ক। তাই দলের একাংশ মনে করছেন, আবাসন ও পরিবহন মন্ত্রকের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলেও তিনি কলকাতার মেয়র হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।