নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায় ভোট মানেই উৎসবের মেজাজ। ভোটের দিন সকাল থেকেই সাজ সাজ রবে বুথমুখী হয় আমজনতা। নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করে ছুটির মেজাজেই দিন কাটান রাজ্যের মানুষ। এই একই চিত্র দেখা গিয়েছে কলকাতা পুরভোটেই পুলিশি প্রহরায় নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছে মানুষ। বিক্ষিপ্ত অশান্তি বাদ দিলে ‘শান্ত’ কলকাতা পুরভোটে এবার সামিল হয়েছেন করোনা আক্রান্ত রোগীরাও। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই নির্বাচন কমিশন নিয়ম করে করোনা আক্রান্তদের ভোটদানের বিশেষ প্রক্রিয়া তৈরি করেছেন। কিন্তু চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যের মধ্যে কোনও করোনা আক্রান্ত রোগী ভোট দেননি। তাই কিছুটা হতাশ ছিল কমিশন। কিন্তু কলকাতা পুরভোটে হয়েছে ঠিক উল্টোটাই। কলকাতা পুরভোটে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন মোট ২৭ জন কোভিড আক্রান্ত। ভোট দিয়েছেন ১০৭ জন মানসিক রোগীও।
আর এই বিষয়ে খুশি নির্বাচন কমিশন। করোনা আবহেই একাধিক রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে। সেই নির্বাচনে যাতে করোনা আক্রান্ত রোগীরাও অংশগ্রহণ করতে পারে সেই বিশেষ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে কমিশন। সেই নিয়ম মেনেই কলকাতা পুরভোটে করোনা আক্রান্তরা ভোটদান করেছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোয় মোট ২৭ জন কোভিড আক্রান্ত ভোট দিয়েছেন। ১ নম্বর বরোয় ২ জন, ২ নম্বর বরোয় ১ জন, ৩ নম্বর বরোয় ২ জন, ৭ নম্বর বরোয় ১ জন, ৮ নম্বর বরোয় ৩ জন, ৯ নম্বর বরোয় ১ জন, ১০ নম্বর বরোয় ৪ জন, ১১ এবং ১২ নম্বর বরোয় ৩ জন করে মোট ৬ জন, ১৩ নম্বর বরোয় ২ জন এবং ১৪ জন বরোয় ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভোট দিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ১০ নম্বর বরোয় কোভিড আক্রান্ত ভোটার ভোট দিয়েছেন।
করোনা রোগীদের জন্যই ১ ঘন্টা আলাদা করে ভোটদানের ব্যবস্থা থাকে। কলকাতা পুরভোটে সেই ব্যবস্থাই ছিল। যাতে সাড়া দিয়েছেন করোনা আক্রান্ত রোগীরা। উল্লেখযোগ্য ভাবে পুরভোটে ভোট দিয়েছেন মানসিক রোগীরাও। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে প্যাভলভ এবং লুম্বিনীর মতো মানসিক হাসপাতালের ক্যাম্পাসে বুথ তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে ১০৭ জন মানসিক রোগী ভোট দিয়েছেন বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।