নিজস্ব প্রতিনিধি: খাস কলকাতায় বাংলাদেশিদের রেখে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানানোর পাচার চক্রের ফাঁস করে কলকাতা পুলিশ। লখনউ থেকে উত্তরপ্রদেশ এটিএস ও কলকাতা পুলিশের যৌথ অভিযানে এক দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আনন্দপুর এলাকায় মানব পাচার চক্রের তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। মোট ৩৭ জন বাংলাদেশিকে প্রথমে আটক পরে গ্রেফতার করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে আনন্দপুরের গুলশন কলোনি এলাকা থেকে আটক করা বাংলাদেশিদের জাল নথি বানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হচ্ছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের মূল মাথা মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর সেই ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ।
অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমানের পরিচিত এই তিন জনই জাল নথি তৈরি করতেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক আধার কার্ড-সহ অন্যান্য জাল নথি পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের তরফে গত বুধবারই জানা যায়, জাল নথি বানিয়ে মানব পাচার চক্রের মূল মাথা মাহফুজুর রহমানের পাক যোগ রয়েছে। তাই এত বাংলাদেশিদের ঠিক কী কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাতেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গত বুধবার অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ। সিঁথির মণ্ডল পাড়া এলাকা থেকে বিশ্বজিৎ দে-কে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি দোকান থেকে বছর পঁচিশের সঞ্জীবকুমার দাস এবং বছর পঁয়ত্রিশের ভারত সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দোকানটির আড়ালেই চলত জাল নথি বানানোর চক্র। যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত মাহফুজুর।
সবটাই হত টাকার বিনিময়ে। তবে এত বাংলাদেশিদের সীমান্ত পেড়িয়ে কীভাবে আনা হত ও ঠিক কী কাজের জন্য বিদেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হত খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।